পার্থ ও জ্যোতিপ্রিয়কে এক পাল্লায় রাখতে নারাজ শোভনদেব, কী যুক্তি দিলেন তিনি?

দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনেই। একজন নিয়োগ এবং অন্যজন রেশন দুর্নীতি। কিন্তু ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এক পাল্লায় ফেলতে নারাজ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

তাঁর কথায়,’পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল অনেক টাকা। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে সেরকম কিছু দেখা যায়নি। তাই দুটি সমান না।’

তিনিও দলের লাইন মেনেই বলেন, কেউ কোনও অপরাধ করলে তার দায় দল নেবে না। তাঁকেই নিজেকেই নিরাপরাধ প্রমাণ করতে হবে। যদিও পার্থ-জ্যোতিপ্রিয় দুজনেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। কয়দিন আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ফেরার পথে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য,’তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তিনি নির্দোষ আর ইডিকে প্রমাণ করতে হবে অভিযুক্ত দোষী।’

পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক–দলের তিন হেভিওয়েট নেতা জেলবন্দি। তিনজনেই নিজ নিজ এলাকায় দলের শক্ত কাণ্ডারি ছিলেন। তাঁরা গ্রেফতার হওয়ায় দল কি ক্ষতি মুখে পড়বে? তেমনটা মানতে নারাজ শোভনদেব।

(পড়তে পারেন। খাদ্য দফতরের দুয়ারে আগেই থমকে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের তদন্ত! কার নির্দেশে?)

তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও অনুপস্থিতিই কোনও প্রভাব ফেলবে না। বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘আমাদের দলে অনেকেই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কারও না থাকাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’

তিনি মেনে নেন, উত্তর ২৪ পরগনায় দলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একটি ভালো সংগঠন ছিল। কিন্তু দলে শেষ কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তবে রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, শোভনদেবের এই দাবি সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে প্রমাণ হয়েছে। গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তা সত্ত্বে বীরভূমে ভাল ফল করেছে শাসকদল।