Bionic Breasts: নকল স্তনেও থাকবে একই রকম অনুভূতি! বড় সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা

কৃত্রিম স্তন সুন্দর হলেও থাকে না কোনও অনুভূতি। তাই নকল স্তনে স্বাভাবিক অনুভূতি ফেরাতে চলছিল গবেষণা। যোগ দিয়েছিলেন স্নায়ুবিজ্ঞানী, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং আরও অনেকে। দীর্ঘ গবেষণার শেষে এল সাফল্য। তৈরি হল ‘বায়োনিক স্তন’।  

স্তন ক্যানসারের একটি স্টেজে ম্যাসটেকটমি না করলেই নয়। এই অস্ত্রোপচারে বাদ যায় স্তন। স্তন বাদ দিয়ে সারিয়ে তোলা যায় ক্যানসার। ফেরানো যায় জীবন। কিন্তু সেই আগের জীবন কি ফেরে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমস্যা দেখা দেয় নানা দিকে। সম্পর্কে শারীরিক দূরত্ব আসে। যৌনজীবন ব্যাহত হয়। অবসাদ চেপে ধরে। হীনম্মন্যতাতে ভোগেন অনেকে। অনেক সময় স্তন বাদ দিলে কৃত্রিম স্তন প্রতিস্থাপন করা যায়। কিন্তু তাতেই একই সমস্যা। স্তনে কোন অনুভব থাকে না। ফলে সেই অনুভূতি আর তৃপ্তি হারিয়ে যায়।

(আরও পড়ুন: চিকিৎসাবিজ্ঞানে বড় সাফল্য!, নয়া চোখের মণি পেল রোগী! দৃষ্টিশক্তি কি ফিরল)

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ স্টেসি টেসলার লিন্ডাও সংবাদমাাধ্যমকে বলেন, নকল স্তন প্রতিস্থাপন করলেও লাভ হয় না। এতে উত্তেজনা থাকে না। থাকে না অনুভূতি। বরং শরীরের সঙ্গে জোড়া অতিরিক্ত অংশ মনে হয়। মেয়েদের জীবনে স্তন শুধু একটি অঙ্গ নয়। বরং মেয়েদের সৌন্দর্য। পাশাপাশি যৌনজীবনের অংশ। স্টেসি বলেন, আমেরিকায় স্তন ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা মহিলাদের ৩৩ শতাংশের ম্যাসটেকটমি হয়। একটি বা দু’টি স্তন বাদ দিতে হয় তাদের । অস্ত্রোপচারের পর ৭৭ শতাংশ মহিলার যৌন জীবন ব্যাহত হয়। 

(আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বাজির ঘন ঘন শব্দেই! জানালেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ)

 ‘বায়োনিক স্তন’ কী? ম্যাসটেকটমির সময়ে এই স্তন প্রতিস্থাপন করা হবে। বাহুমূলের তলায় স্নায়ুকলার সঙ্গে জোড়া হবে সি-এফআইএনই যন্ত্র। পরে, যন্ত্রটিই অঙ্গের উদ্দীপনা বৈদ্যুতিন সংকেত হিসেবে মস্তিষ্কে পাঠাবে। মস্তিষ্ক সংকেত পেলেই স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে বায়োনিক স্তন। এই নিয়ে দ্রুত শুরু হবে ক্লিনিকাল ট্রায়াল। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক স্নায়ুবিজ্ঞানী স্লিম্যান বেনসমাইয়ার নাম না করলেই নয়। তিনিই এই গবেষণার কাণ্ডারী। কৃত্রিম অঙ্গে অনুভূতি ফেরানো নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেন তিনি। তবে গত অগস্টে তাঁর মৃত্যু হয়। স্টেসি বললেন, স্লিম্যানের গবেষণা ছিল যে কোনও কৃত্রিম অঙ্গ নিয়ে। আর তাঁরটা মূলত স্তন নিয়ে।