Tea Auction: বছর ১২ পরে! ডিজিটাল ভারতে পুরনো কায়দায় চায়ের নিলাম ফিরছে কলকাতায়, ই-অকশন পছন্দ নয়

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ই অকশনেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল চায়ের দুনিয়া। তবে এবার ফের আগের মতো সরাসরি চায়ের নিলামে ফেরার উদ্যোগ। প্রায় ১২ বছর পরে ফের ফিরছে সেই পুরনো পদ্ধতিতে চায়ের নিলাম। কলকাতাতে ফিরছে এই নিলাম।

আসলে চায়ের নিলামে অংশগ্রহণকারীরা বার বার দাবি করছিলেন এবার সরাসরি চায়ের নিলাম করা হোক। এরপর এনিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে অ্যাসোসিয়েশন অফ টি অকশনার্স। মূলত চা ব্য়বসায়ীদের সুরক্ষিত করতে এই নয়া উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সরাসরি নিলামকেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে চায়ের নিলামে অংশ নেওয়া যাবে। তবে এতদিন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ই অকশন হত। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আর চায়ের নিলামকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হত না। তারা সরাসরি নিলামকেন্দ্রে উপস্থিত না হয়েও চায়ের নিলামে অংশ নিতে পারতেন। তবে এবার পরিস্থিতির দ্রুত বদল হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, ২০১১ সালে কলকাতায় শেষবার হাতেকলমে চায়ের নিলাম হয়েছিল। সেটাই শেষ। তারপর থেকে ই অকশন শুরু হয়েছে। চায়ের নিলামকেন্দ্রে আর সরাসরি উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ই অকশনের মাধ্যমেই চায়ের নিলাম হত। তবে পরিস্থিতির বদল হচ্ছে এবার। 

এবার চা হাতে স্পর্শ করে নিলামে অংশ নেওয়া যাবে। আসলে অভিজ্ঞ মহলের মতে, ১৫০ বছর ধরে চায়ের নিলাম তো এভাবেই হত। ই অকশনে অংশ নিতেন ক্রেতারা। দাম হাঁকা হত নিলাম কেন্দ্রে। যিনি সবথেকে বেশি দাম দিতেন তিনি হতেন সেই নিলামের বিজয়ী। এরপর তিনি সেই চা কিনতে পারতেন। 

তবে সকলের চোখের সামনে সেই নিলাম হত। অনলাইনের ব্যাপার ছিল না। এতে সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই ছিল। তবে ফের এই ফিজিকাল অকশনকে ঘিরে অনেকেই বেশ রোমাঞ্চিত। আসলে অনেকের মতে, ই অকশনে এই নিলামে জেতার ব্যাপারটা একেবারেই থাকে না। 

তবে চা ব্যবসায়ীরা অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ ই অকশনের দিকে এখন অনেকেই যেতে চাইছেন না। তাদের মতে, ই অকশন হলে কিছু অসুবিধা থাকে। তাছাড়া চা কেনার পরে তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।