IIM: ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালনায় শেষ কথা বলবেন রাষ্ট্রপতি, বদলে যাচ্ছে নিয়ম

ফারিহা আখতার

কেন্দ্রীয় সরকার একটা নতুন নোটিফিকেশন জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে সমস্ত ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভিজিটর হিসাবে থাকবেন। বোর্ড অফ গভর্নর্সদের চেয়ারপার্সন নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন। ডাইরেক্টরদের সরানোর ক্ষেত্রেও তিনি বড় ভূমিকা নেবেন। যদি বোর্ড ঠিকঠাক কাজ না করে তবেও তিনি সেই বোর্ডকে ভেঙে দিতে পারবেন। জনস্বার্থে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই মেনে নিতে হবে। 

চলতি বছরের জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ ম্যানেজ অফ ম্যানেজমেন্ট( অ্যামেন্ডমেন্ট) রুলস ২০২৩ পাশ করা হয়েছিল পার্লামেন্টে।১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক গেজেট নোটিফিকেশনে এটা উল্লেখ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি আইআইএমের ভিজিটর হিসাবে থাকবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।  সেখানকার পরিচালন সমিতির চেয়ারপার্সন নিয়োগের ক্ষমতা তার উপর থাকবে।  নতুন ডিরেক্টর নিয়োগের জন্য় সার্চ কমিটি তিনি তৈরি করতে পারবেন। নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

এর আগে সার্চ কাম সিলেকশন কমিটি তৈরি হত সমাজের পাঁচজন বিশিষ্টজনকে নিয়ে। তার মধ্যে প্রশাসক, শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ থাকতেন। তবে এবার নতুন নিয়মে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে বোর্ড ভেঙে দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তিনটি পরিস্থিতিতে তিনি একাজ করতে পারেন। যদি তিনি মনে করেন বোর্ড কাজ করতে পারছে না, ভিজিটরের নির্দেশ বার বার লঙ্ঘন করছেন ও জনস্বার্থে এই বোর্ড ভাঙা যাবে। এরকম পরিস্থিতিতে ভিজিটর বোর্ড ভেঙে চেয়ারপার্সন হিসাবে একজন বা একাধিকজনকে নিয়োগ করতে পারেন। তবে ৬ মাসের বেশি তারা থাকবেন না। 

সেই সঙ্গে দেশের যে কোনও আইআইএমের ডিরেক্টর নিয়োগের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন ভিজিটর।  বোর্ড যে নাম সুপারিশ করবে তার মধ্য়ে একটি নামকে তিনি বেছে নিতে পারবেন। তবে তাঁর যদি একটি নামও পছন্দ না হয় তবে তিনি আবার নতুন করে নাম সুপারিশ করার জন্য বলতে পারেন। 

এর আগে বোর্ড একাই ডিরেক্টর নিয়োগ করতে পারত। সেই সঙ্গেই যে কোনও ডিরেক্টরকে তিনি প্রয়োজনে সরিয়ে দিতে পারবেন।  এর আগে আইআইএম ২০১৮ রুলস অনুসারে পরিচালন সমিতির ক্ষমতা ছিল ডাইরেক্টরদের অপসারণ করার ব্যাপারে।  উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের ভোটাভুটিতে ও বোর্ড সদস্যদের ৫০ শতাংশের বেশি সম্মতিতে এটা করা যেত। তবে এবার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষমতা বর্তাচ্ছে রাষ্ট্রপতির উপর।