Soumen Mahapatra: ‘দল যেমন বলবে!’ তমলুক জেলা সভাপতির পদ যেতেই বললেন সৌমেন মহাপাত্র

লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনিক রদবদল করল তৃণমূল। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়নি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে। তেমনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলাতেও পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রকে রাখা হয়নি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, জেলা পরিষদের মেন্টর অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সৌমেন মহাপাত্রকে আনা হল রাজ্য কমিটির সম্পাদক পদে।

কেন তাঁকে সরানো হল তা এখন জেলার কর্মীদের কাছে আলোচ্য বিষয়। তবে দলের একাংশের মতে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠছিল। সম্প্রতি সৌমেন মহাপাত্রকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেচ্চার হয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক তথা তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি।

অন্য দিকে তমলুকের চেয়ারপার্সন পদ থেকে পীযুষকান্তি ভুঁইয়াকে সরিয়ে তার জায়গায় আনা হল বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতিকে। তিনি কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতির বাবা।

(পড়তে পারেন। মহুরি থেকে প্রবল প্রতাপশালী, জয়নগরে কেমন করে উত্থান সইফুদ্দিনের?)

কাঁথির সাংগঠিক জেলাতেও পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সাংগঠিক জেলার সভাপতি ছিলেন এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি। তাঁকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পীযূষকান্তি পণ্ডাকে।

এই রদবদলের প্রেক্ষিতে সৌমেন কুমার মহাপাত্র বলেন, ‘আমার কোনও পদের মোহ নেই। দল যেভাবে কাজ করতে বলেছে করে এসেছি। আগামী দিনেও সেভাবে করব।’

বিজেপি অবশ্য এই রদবদলকে কটাক্ষ করেছে। রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘তৃণমূল আসলে নিজেদের লোককে বিশ্বাস করে না তাই সপ্তাহে সপ্তাহে পদ পরিবর্তন করতে হয়।’