আবাসন সংকট নিরসনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবনির্মিত ছয়টি আবাসিক হল এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে গণভবন থেকে এসব স্থাপনার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়াম থেকে ভিডিও কনিফারেন্সে যুক্ত হন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
একই অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ৫ হাজার ৩৬০টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৩৯৭টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জহির রায়হান মিলনায়তন থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটকে প্রায়োরিটি দিয়ে আমরা ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণ করেছি। প্রকল্পের ২য় ধাপের কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে এই অভূতপূর্ব সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেকে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩টি স্থাপনা নির্মাণের দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে ছয়টি আবাসিক হলের নিমার্ণ কাজ শেষ হয়েছে। গত ১১ আগস্ট হলগুলোর নামকরণ করা হয়। ছাত্রীদের তিনটি হলের নাম যথাক্রমে রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেছা হল ও বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের তিনটি হলের নাম শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, শেখ রাসেল হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।