Jaynagar Murder: স্বামী TMC করেন, দাবি সইফুদ্দিন খুনের পর গণপিটুনিতে হত সাহাবুদ্দিনের স্ত্রীর

জয়নগরের দলুইখাঁটিতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর খুনে সিপিএমের যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিল গণপিটুনিতে নিহত অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিনের পরিবার। সোমবার সকালে ওই ঘটনার পরে সিপিএমের ঘাড়ে খুনের দায় চাপিয়ে একের পর এক সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে যাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে মেরেছে তৃণমূলের গুন্ডারা সেই সাহাবুদ্দিন লস্করের পরিবারের দাবি, যবে থেকে তৃণমূলের উত্থান তবে থেকে তাদের সমর্থক গোটা পরিবার।

দলুইখাঁটি গ্রামে ছোট ছোট কাঁচা ঘরে বাস হতদরিদ্র মুসলিম পরিবারগুলি। সোমবারের ঘটনার পর একটি ঘরেরও আর কোনও অস্তিত্ব নেই। আর ওই ঘটনার পর থেকেই পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম। পুড়ে গিয়েছে, চাল, ডাল, পরনের পোশাক। শিশুদের নিয়ে কোথায় যাবেন জানা নেই গ্রামের রমণীদের।

গ্রামের এক কোণে নিহত সাহাবুদ্দিনের বাড়ি। বাড়ি থেকে মাঝে মাঝেই ভেসে আসছে কান্নার রোল। সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী কথা বলতে বলতে কেঁপে উঠছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার স্বামী দর্জির কাজ করেন। বাড়ি থেকেই কাজ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুজোর আগে তিনি সুভাষগ্রামে এক জায়গায় কাজ ধরেন। শনিবার আসতেন আবার সোমবার চলে যেতেন। আমার স্বামীর কোনও মোটরসাইকেলও নেই। সাইকেল স্টেশনে রেখে কাজে যেতেন। সোমবার তিনি ওখানে কী করছিলেন আমি বলতে পারব না। তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী কোনও রাজনীতি করতেন না। তবে তৃণমূল যবে থেকে উঠেছে তবে থেকে আমাদের পরিবার তৃণমূল সমর্থক। আমার স্বামী ভোট দিতে যেতেন। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে চলে আসতেন। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।’

নিহতের মেয়ে রাবেয়া বলেন, ‘আমার বাবা খুন করেনি। আমার বাবা নির্দোষ। তাঁকে বিনা বিচারে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই খুনের বিচার চাই। যদি বাবা খুন করেও থাকে তাকে পিটিয়ে মারা যায় না কি? তাহলে দেশে আইন আদালত আছে কী করতে?’

তিনি বলেন, ‘বাবার সঙ্গে সইফুদ্দিনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি কোনও দিন আমাদের বাড়িতে আসেননি। তাঁকে কেন খামখা খুন করতে যাবেন আমার বাবা?’