রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে ১০ কোটি পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাতে দেশের পাশাপাশি বিদেশের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর পাশাপাশি ভগবান রাম এবং মন্দিরের ছবিও দেওয়া হবে তাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার এ কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘‌বিজেপিকে জেতান, রামমন্দির দর্শন করুন বিনামূল্যে’‌, প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের

অলোক কুমার জানিয়েছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত শহর ও গ্রামে গিয়ে হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করবে এবং আমন্ত্রণ জানাবে। বিদেশে বসবাসরত হিন্দুদেরও আমন্ত্রণ জানাতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ ভগবান রাম এবং তার মন্দিরের একটি ছবি দেওয়া হবে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে যারা অনুষ্ঠানে হাজির হবেন তাদের কাছ থেকে কোনও রকমের অনুদান বা অন্যান্য উপকরণ নেওয়া হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেছেন। 

তিনি জানান, ভগবান রামের সমস্ত ভক্তকে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অযোধ্যায় ডাকা সম্ভব নয়। তাই অভিষেক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তা দেখার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর অনুমান, বিশ্বের প্রায় ৫ লক্ষ মন্দিরে এই অনুষ্ঠান হবে। তাতে  লক্ষ লক্ষ হিন্দু অংশগ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দেশ জুড়ে কয়েক হাজার সাধুকে অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ ভগবান শ্রী রামের ১৪ বছর নির্বাসনের পর অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে পালন করতে দীপাবলি উদযাপন করি। কিন্তু ২২ জানুয়ারি বিশ্ব দ্বিতীয় দীপাবলি উদযাপন করবে। ফলে এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব থেকে সমগ্র হিন্দু সমাজের অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।’ 

এছাড়াও, রাম জন্মভূমি নিয়ে আন্দোলনের সময় যারা মারা হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের রাম মন্দির দর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। তিনি জানান, এই ধরনের ভক্তদের আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছোট দলে দর্শনের জন্য অযোধ্যার রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে। এমন প্রায় এক লাখ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আশা যে অযোধ্যায় রাম মন্দির সম্প্রীতি, ঐক্য এবং সম্প্রীতি ছড়িয়ে দেবে ।