Brain tumor: মস্তিষ্কে ৫০০ গ্রামের টিউমার, খুলি ‘ওপেন’ করে অস্ত্রোপচার, তরুণীর প্রাণ বাঁচাল NRS

তরুণীর মাথায় গজিয়ে উঠেছিল বিশালাকারের একটি টিউমার। যার ওজন প্রায় ৫০০ গ্রাম। সাধারণত রোগীর পাকস্থলী বা পেটে বড় আকারের টিউমার হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়, কিন্তু, মাথার মধ্যে এত বড় আকারের টিউমারের ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনহানির আশঙ্কা ছিল বছর চব্বিশের ওই তরুণীর। সঠিক সময় অস্ত্রোপচার না হলে সে ক্ষেত্রে তরুণীকে বাঁচানো সম্ভব হত না। শেষ পর্যন্ত এনআরএস হাসপাতালের তৎপরতায় ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচল। ফলে নতুন জীবন ফিরে পেলেন ওই তরুণী।

আরও পড়ুন: ৪ মিনিটের অস্ত্রোপচারে ধমনী থেকে টিউমার বাদ দিয়ে রোগীর জীবন বাঁচালেন চিকিৎসরা

জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম সোমা সরকার। তিনি নিউটাউনের বাসিন্দা। কিছুদিন ধরেই তার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা করছিল। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, চোখে কম দেখা এবং বমি হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমের দিকে তরুণী বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও দিন যেতেই সমস্যাও বাড়তে থাকে। শেষে যন্ত্রণা সইতে না পেরে তরুণী হাসপাতালে যান। সেখানে মস্তিষ্কের স্ক্যান করতেই বড় ধরনের টিউমারটি ধরা পড়ে। তা দেখে তাজ্জব হয়ে যান চিকিৎসকরা । হাসপাতালের তরফে তরুণীকে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করে টিউমার বাদ না দিলে সে ক্ষেত্রে জীবনহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। ফলে অস্ত্রোপচারে সম্মতি দেন পরিবারের সদস্যরা। অবশেষ নিউরোসার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ পার্থসারথী দত্তের নেতৃত্বে তরুণীর অস্ত্রোপচার করা হয়। গত সপ্তাহে এই অস্ত্রোপচার হয়েছে। তরুণীর টিউমারটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।  বর্তমানে তরুণীকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি আপাতত সুস্থ রয়েছেন।

চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত মানব মস্তিষ্কের ওজন হয়ে তাকে দেড় কেজি। সেই জায়গায় টিউমারটিরই ওজন ছিল হাফ কেজির মতো। ফলে স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে, কতটা সমস্যার মধ্যে ছিলেন ওই রোগী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টিউমারটি হয়েছিল সোমার মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব অংশে। মস্তিষ্কের আচ্ছাদন থেকেই ওই টিউমারটি তৈরি হয়েছিল। এই ধরনের টিউমারকে চিকিৎসকরা মেনিনজিওমা বলে থাকেন। এই ধরনের টিউমারের ফলে শরীরে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। মাথায় চাপ সৃষ্টি হয়। তা থেকে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকী রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।জানা গিয়েছে, মস্তিষ্কের খুলি কেটে টিউমারটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় রোগীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য হিস্টোপ্যাথোলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।