Calcutta High court: কিশোরী অপহরণের মামলায় জুভেনাইল আইন মানেনি পুলিশ, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

হাওড়া থেকে নিখোঁজ হয়েছিল ১ নাবালিকা। তাকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করলেও জুভেনাইল আইন মানেনি। পরিবর্তে কিশোরীকে সাবালিকা হিসেবেই দেখাতে চেয়েছে পুলিশ। সেই সংক্রান্ত মামলায়  পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় হাওড়া পুলিশ কমিশনারের অফিসারের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন: ওড়িশা থেকে উদ্ধার বিশ্বভারতীর ‘অপহৃত’ বিদেশি পড়ুয়া, গ্রেফতার মোট ১২ জন

জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী বিহারের পাটনার বাসিন্দা। গত জুলাই মাসে পরিবারের সঙ্গে হাওড়ার বেলুড়ে দাদার বাড়িতে আসে ১৭ বছরের ওই কিশোরী। কিন্তু, কয়েকদিন পরেই সকালে ওই কিশোরী বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হলে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না মেলায় শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে তারা বেলুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে জানতে পারেন কিশোরীকে অপহরণ করে আবার পাটনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২ জন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পরে বেলুড় থানায় ওই দুজনের নামে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ ছিল, ওই দুই ব্যক্তি তাদের মেয়েকে অপহরণ করে পাটনায় নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেও পদক্ষেপ না করায়  শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কিশোরীর দাদা।

মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাওড়া চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও কিশোরীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে জুভেনাইল আইন অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নাবালিকাকে সাবালিকা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে।  তবে পুলিশের যুক্তি, তার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করার সময় মেয়েটির বয়স ১৮ বছর বলে জানানো হয়েছিল। পালটা মামলায় আইনজীবী দাবি করেন, ভুলবশত সেই তথ্য দেওয়া হলেও বয়সের নথি পুলিশের কাছে রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। মেয়েটিকে চাইল্ড কেয়ার হোমে কেন পাঠানো হল? কেনই বা জুভেনাইল নিয়ম কার্যকর করা হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরভিত্তিতে আদালত ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার মহিলা অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে।