World Diabetes Day: চিকিৎসার অবহেলাতেই কি বাড়ছে ডায়াবিটিস? ভাবাচ্ছে রাস্ট্রসংঘের ২০২৩ থিম

ভারতকে এখন ডায়াবিটিস রাজধানী বলা যায়। তবে ডায়াবিটিসের মতো ক্রনিক রোগকেও বাগে আনা সম্ভব।  ঠিক মতো নিয়ম মানলে এই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ। বিশেষ করে যাদের রক্তে ঘন ঘন শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে।  টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর জন্য রক্তে সুগার লেভেল কবজায় রাখা কঠিন। 

(আরও পড়ুন: ভাই অনেক দূরে? অনলাইনেই পাঠিয়ে দিন ভাইফোঁটায় উপহার, রইল সেরা উপায়)

বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবস ২০২৩: প্রতি বছর বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবস ১৪ নভেম্বর পালিত হয়। এই দিন স্যর ফ্রেডরিক ব্যান্টিংয়ের জন্মদিন। তিনি প্রথম ইনসুলিন হরমোন আবিষ্কার করেছিলেন। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৪৬৩ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। আবার ডায়াবিটিস রোগীদের  ৯০ শতাংশের টাইপ ২ ডায়াবিটিস আছে। এর ফলে আরও নানা অসুখ হতে পারে। এমনকী রোগীর অকাল মৃত্যুও হতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই জরুরি। যাতে সময় থাকতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। 

বর্তমানে ডায়াবিটিস পৃথিবীব্যাপী বড় সমস্যা । ছোট শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও প্রকোপ বাড়ছে এই রোগের। এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। ডায়াবিটিস একবার ধরলে তা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সারিয়ে ওঠা কঠিন। এর থেকে রক্তচাপের সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি রোগ বেড়ে যায়। এমনকি কেটে ছড়ে গেলে সেরে উঠতে সময় লাগে।  কিডনির অসুস্থতা বাড়ে।

(আরও পড়ুন: নকল স্তনেও থাকবে একই রকম অনুভূতি! বড় সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা)

বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবস ২০২৩-এর থিম: এই বছর বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবসের থিম ডায়াবিটিস চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া বা  ‘access to diabetes care’ বাড়ানো। ডায়াবিটিস এক ধরনের বিপাকীয় ব্যাধি। রোগটির চিকিৎসা অনেকেই সময় মতো পান না। তাই খাদ্যাভ্যাস বদলে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক ডায়াবিটিস ফাউন্ডেশন  ১৯৯১ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপন করছে। রাষ্ট্রসংঘ এই দিনটিকে বিশ্ব দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবসের গুরুত্ব: ডায়াবিটিস দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য এই রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। বিশ্বের মারণরোগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডায়াবিটিস। রোগটি থেখে বাঁচতে নিয়মিত জীবনযাপন জরুরি। একই সঙ্গে রোগীর নিয়মিত দেখভালও দরকার।