হরিয়ানায় ৪ সন্তানকে বিষ খাওয়ালো বাবা, মৃত্যু হল ৩ জনের

পঞ্জাবের জলন্ধর কাণ্ডের ছায়া হরিয়ানার রোহতাকে। নিজের ৪ সন্তানকে বিষ খাওয়ালো বাবা। যার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই বোন এবং এক ভাই। তাদের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। ঘটনার পরেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত বাবা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: বিষ খাইয়ে নিজের স্বামী–শ্বশুরবাড়ির সদস্যকে খুন করলেন বিজ্ঞানী, স্তম্ভিত পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম হল লিসিকা (১০), দীক্ষা (৭) ও মাসুম দেব (১৪) মারা যান। এছাড়া, আরও এক বোন হিনাকে (৮) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অভিযুক্ত বাবার নাম হল সুনীল কুমার। ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলপুর গ্রামে। মা, স্ত্রী এবং ৪ সন্তানকে নিয়ে ছিল সুনীলের সংসার। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তের মা এবং স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সুনীল পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। সে ঝাজ্জারের একটি আসবাবপত্রের শোরুমে কাজ করত। মঙ্গলবার সুনীল সকালে কাজে গিয়েছিল। কিন্তু মা ও স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় বিকেলে ফিরে আসে। কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে ছেলেমেয়েদের বিষ মেশানো কিছু খাবার দিয়েছিল সুনীল। তা খাওয়ার পরেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে সকলে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।

 মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পরেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কী কারণে সে এরকম কাণ্ড ঘটাল? সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জানা গিয়েছে, প্রচুর দেনার দায়ে মানসিক চাপে ছিল সুনীল। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।এদিকে, পালিয়ে যাওয়ার পর সুনীল তার স্ত্রীকে ফোন করে আত্মঘাতী হওয়ার কথা  জানিয়েছে। তবে তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ রয়েছে। তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে অবস্থান জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত মাসে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলায়। সেক্ষেত্রে তিন মেয়েকে খাবারে বিষ মিশিয়ে খুন করেছিল বাবা মা। খুন করার পর তিন মেয়েকে বাড়িতে একটি ট্রাঙ্কের মধ্যে মৃতদেহ রেখে দিয়েছিল। পুলিশকে তারা জানিয়েছিল, অভাবের সংসারে মেয়েদের ভরণ পোষণ করতে পারছিল না। সেই কারণে তিন মেয়েকে তারা বিষ খাইয়ে খুন করেছে।