‘‌হিংসা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব’‌, ভাইফোঁটার দিনে কড়া মন্তব্য রাজ্যপালের

জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুন এবং তারপর জ্বলে ওঠা একের পর এক বাড়ি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। খুন এবং খুনের বদলা খুন। আর তারপর গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে আগুন–ভাঙচুর–লুঠপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। জয়নগরের ওই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনে অভিযুক্ত আর একজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই পরিস্থিতিতে এবার হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আজ, বুধবার রাজ্যপাল রাজভবনে ভাইফোঁটা নেন। আর সেখানেই তিনি কড়া মন্তব্য করেন। রাজ্যপাল এদিন জয়নগরের ঘটনায় মুখ খোলেন। আজ তিনি বলেন, ‘‌আইন আইনের পথে চলবে। রাজভবন তার কর্তব্য পালন করবে।’‌ অর্থাৎ রাজ্যপাল এই ঘটনা নিয়ে অ্যাকশন নেবেন সেটা স্পষ্ট করে দেন। আজ আড়ম্বরে রাজভবনে ভাইফোঁটা পালন হয়। একাধিক বোনের থেকে তিনি ভাইফোঁটা নেন। আর প্রত্যেককে পৃথক পৃথক উপহার তুলে দেন। সেখানেই জয়নগর নিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়। গোটা ঘটনা যে তাঁর নজরে এসেছে সেটা বুঝিয়ে দেন রাজ্যপাল।

এদিকে এই ঘটনায় যে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করবেন সেটাও উল্লেখ করেছেন তাঁর বক্তব্যে। এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‌আইন আইনের পথে চলবে। রাজভবনও তার কর্তব্য পালন করবে। হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধুমাত্র আইনি ব্যবস্থা নয়, সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। হিংসা বাংলার রাজনীতিকে প্রভাবিত করছে। এই হিংসার সংস্কৃতিকে বন্ধ করতেই হবে। আগুন লাগানো, হুমকি দেওয়া এগুলি সব অপরাধের অংশ। অপরাধের পরিবেশ এই রাজ্যের কিছু জায়গায় আছে। হিংসা বন্ধ করতে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’‌

আরও পড়ুন:‌ বিচারপতির গাড়িতে ধাক্কা মারল নওশাদের স্করপিও, প্রতিবাদ করতেই চালককে সপাটে ‘চড়’

অন্যদিকে জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছল সিআইডির টিম। যদিও এই ঘটনার তদন্তভার এখনও সিআইডি গ্রহণ করেনি। শুধু স্থানীয় পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতেই গ্রামে এসেছেন সিআইডির অফিসাররা। সিআইডির টিমে ছিলেন এসএস সায়ক দাস এবং ডিএস সুশান্ত মুখোপাধ্যায়। তাঁরা সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে দেখতে পান। পুলিশের টহলদারি এখনও চলছে। গোটা গ্রামের অবস্থা ভাল করে খতিয়ে দেখেন অফিসাররা। এরপর জয়নগর থানাতে গিয়ে সিআইডির অফিসাররা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ রাজভবন থেকে রাজ্যপাল গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘‌ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, লুট করা, এগুলি এই খুন এবং তার হিংসার অংশ। এতেও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেটা করা হবে। আইন ও প্রশাসনের বিষয়ও দেখা হবে।’‌