ODI World Cup AUS Vs SA: Glenn Maxwell Had To Go Through Scan, Pat Cummins Gives Update On His Health Ahead Of Semifinal Against South Africa

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ডাবল সেঞ্চুরি যেন ক্রিকেট মাঠের রূপকথা হয়ে গিয়েছে। যে ইনিংসের রেশ এখনও মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে ক্রিকেটবিশ্বকে। ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংসকে ভিভ রিচার্ডস (Viv Richards), সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) মতো কিংবদন্তিও ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ইনিংস বলে চিহ্নিত করছেন।

বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে (ODI World Cup) ইডেন গার্ডেন্সে কি ফের ঝড় তুলবেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (Glenn Maxwell)? বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে রয়েছেন ম্যাড-ম্যাক্স শো দেখার জন্য। যদিও উদ্বেগের মেঘ তৈরি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া শিবিরে (AUS vs SA)। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সময়ই হ্যামস্ট্রিংয়ের পেশিতে টান লেগেছিল। কলকাতায় পা রাখা ইস্তক কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন অজ়ি অলরাউন্ডার।

আর তারপর থেকেই ইডেনে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটার মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। উৎকণ্ঠায় ছিলেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরাও। যাঁরা সেমিফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেছেন। ম্যাক্সওয়েলের সেমিফাইনালে মাঠে না নামা মানে রেস্তোরাঁয় গিয়ে আপনি মাটন বিরিয়ানি অর্ডার দিলেন। দাম মেটালেন। আর তারপর প্লেটে মাটনের দেখা পেলেন না। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, মাফ করবেন, মাটন শেষ।

বুধবার প্যাট কামিন্সের কাছেও ধেয়ে এল সেই উদ্বেগের ঢেউ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করা হল, ম্যাক্সওয়েলের স্ক্যান করানো হয়েছে। কী আপডেট? কামিন্স বললেন, ‘হ্যাঁ, ম্যাক্সি (দলে ম্যাক্সওয়েলের ডাকনাম) ভাল আছে। ও খেলতে পারবে। হ্যাঁ, গতকাল পর্যন্ত ওর অস্বস্তি ছিল। সতর্কতা হিসাবেই স্ক্যান করানো হয়েছে। কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সেটা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। সৌভাগ্যবশত, ওর রিপোর্ট ভাল এসেছে। ম্যাক্সি ভাল আছে।’

কামিন্সের কাছে ইডেন গার্ডেন্স সেকেন্ড হোম। কেন? আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন অজ়ি পেসার। ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা কী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে সাহায্য় করবে? কামিন্স বলছেন, ‘আমাকে অনেকেই এই কথা বলেন। তবে আমি এই মাঠে খুব বেশি খেলিনি। কারণ আইপিএল তো মাঝে দুবাইয়ে হল। পরে মুম্বইয়ে খেলা হল। ইডেনে আমি অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যদের মতোই ম্যাচ খেলেছি। আইপিএলে কমই খেলেছি।’

দক্ষিণ আফ্রিকা কখনও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেনি। হ্যান্সি ক্রোনিয়ে থেকে গ্রেম স্মিথ – অসাধারণ সব অধিনায়ক দুরন্ত সমস্ত দল নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছেন। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ১৯৯৯ সালের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল অন্য়তম ফেভারিট প্রোটিয়াদের। যদিও এবার গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কামিন্স বলেছেন, ‘সেমিফাইনালে এর প্রভাব পড়বে না। প্রত্যেক ম্যাচ শূন্য থেকে শুরু হয়। ওদের বিরুদ্ধে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। এই তো মাস দুয়েক আগেও ওদের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলেছি। আমাদের দলে এমন বেশ কয়েকজন আছে যারা এই পরিস্থিতি থেকে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে।’

আরও পড়ুন: ABP Exclusive: আত্মহননের কথা ভেবেছিলেন, কপিল-মন্ত্রে সেই কুলদীপই এখন বিপক্ষের ত্রাস

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন

https://t.me/abpanandaofficial