কলকাতার হস্টেলে উদ্ধার হেরিটেজের ছাত্রীর মৃতদেহ, কারণ নিয়ে তদন্তে পুলিশ

ফের কলকাতার হস্টেল থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রীর মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে ওই ছাত্রী এ রাজ্যের বাসিন্দা নন। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। মৃত ছাত্রীর নাম শাবানা। আনন্দপুরে কলেজের হস্টেল থেকে ওই ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছাত্রীটি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: খড়্গপুর আইআইটিতে আবারও ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু, ব্যাপক চাঞ্চল্য

জানা গিয়েছে, শাবানা বোকারোর বাসিন্দা। তিনি হেরিটেজ কলেজের বিএ অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মাস দুয়েক আগে তিনি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর থেকে আনন্দপুরে কলেজের হস্টেলেই থাকছিলেন তিনি। যদিও কী কারণে তাঁর মৃত্যু? সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ৮ টার দিকে তাঁকে ডাকতে যান কেয়ারটেকার। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় শেষে কেয়ারটেকার এবং হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকরা দরজা ভাঙেন। এরপর দরজা খুলতেই শাবানাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। পরে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা সেখানে পৌঁছন। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, তরুণী দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। ফলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর সেবিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হবে পুলিশ।

ইতিমধ্যেই পুলিশ তরুণীর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে। সে ক্ষেত্রে তরুণীর কল লিস্ট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইলে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিশেষ করে ওই তরুণীর শেষবারের মতো কার সঙ্গে কথা হয়েছিল বা কাদের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন বা হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতেন? সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডে তরুণীর পরিবার এবং সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, তরুণী ঘর থেকে তার লেখা বেশ কয়েকটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে। তাতে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। তবে তাতে এখনও পর্যন্ত মানসিক অবসাদ থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলিশ তার রুমমেট এবং হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল কিনা সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।