Indigo Flight Emergency Landing: জরুরি অবতরণ ইন্ডিগোর বিমানের, উড়ানে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীদের

লখনউ থেকে বারাণসীর উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিল ইন্ডিগোর বিমানটি। তবে আকাশে ওড়ার মাত্র ২০ মিনিটেই জরুরি অবতরণ করতে হয় সেটিকে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল। জানা গিয়েছে উড়ানে ছিলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রিপোর্ট অনুযায়ী, বারাণসীগামী উড়ানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল একটি ‘এটিআর’ বিমানের মাধ্যমে। উড়ান সংখ্যা ৬ই ৭৭৪১ লখনউয়ের মাটি ছাড়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে। নির্ধারিত সময় থেকে ততক্ষণে ২৫ মিনিট দেরিতে চলছিল বিানটি। আকাশে ওড়ার ২০ মিনিট পরই আবার সেই বিমানটি ফিরে যায় লখনউ বিমানবন্দরেই। জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হননি বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশের! এবার কী হবে?)

রিপোর্ট অনুযায়ী, লখনউ থেকে উড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরই রায়বরেলির ওপরে বিমানটি ইউ-টার্ন নেয়। চৌধুরী চরণ সিং বিমানবন্দরে ফিরে যায় বিমানটি। জানা গিয়েছে, বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই পাইলট ঘোষণা করেন যে বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এই আবহে তারা লখনউ ফিরে যাচ্ছেন। এই আবহে স্বভাবতই বিমানযাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এই আবহে জয়ন্ত কৃষ্ণ নামক এক যাত্রী টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আতঙ্কের কারণেও হতে পারে, তবে বিমানটি জরুরি অবতরণ করার সময় আমি একটা আওয়াজ শুনেছিলাম।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘জরুরি অবতরণের পরও বিমানকর্মীদের তরফ থেকে আমাদের স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি যে ঠিক কী হয়েছে। এটা খুবই বিরক্তিকর ছিল। এমনকী আমরা বারাণসী কীভাবে যাব, তা নিয়েও তখন স্পষ্ট ধারণা ছিল না আমাদের কাছে।’

এদিকে অপর এক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, ক্রমাগত ঝাঁকুনি হয়ে চলেছিল বিমানে। টেকঅফের সময় থেকেই এই অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এদিকে সেই যাত্রীর অভিযোগ, ২০ মিনিট আকাশে ওড়ার পর যখন বিমানটি লখনউতে জরুরি অবতরণ করে, তখন নাকি ইন্ডিগোর কর্মীরা দাবি করেন, এটা জরুরি অবতরণ নয় বরং শেষ মিনিটে উড়ানটি বাতিল হয়েছে। এই আবহে ইন্ডিগোর তরফ থেকে যাত্রীদের তিনটি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল – বারাণসীর পরবর্তী উড়ান পর্যন্ত লখনউতে হোটেলে থাকা, ৬ ঘণ্টা বাসে করে বারাণসী পৌঁছানো বা বিমানে দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে বারাণসীর বিমানে চাপা। এদিকে অভিযোগ, ইন্ডিগোর তরফ থেকে যে বাস দেওয়া হয়েছিল, তা খুবই বাজে অবস্থায় ছিল। এই গোটা ঘটনা নিয়ে অবশ্য ইন্ডিগো এখনও মুখ খোলেনি।