Uttarakhand Tunnel Rescue: উত্তরকাশীর সুরঙ্গে ধস, উদ্ধারকাজে ড্রিল মেশিনও ফেল করছে, বড় ভরসা থাইল্যান্ডের টিম

উত্তরকাশীতে নির্মীয়মান টানেলে আটকে পড়েছিলেন নির্মাণ শ্রমিকরা। এরপর তাদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। প্রায় ৪০ জন শ্রমিক ৯০ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন বলে খবর। বুধবার একাধিক এজেন্সি এই উদ্ধারকাজে শামিল হয়। কিন্তু ফের ওই জায়গায় ধসের জেরে উদ্ধারকাজে বাঁধা তৈরি হয়েছে বলে খবর।

ড্রিল মেশিন দিয়ে সুরঙ্গ কেটে উদ্ধারকাজে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতে মাঝপথেই সমস্যা তৈরি হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান C1-30 হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট নিউ দিল্লি থেকে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ২৫ টনের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এই ড্রিলিং মেশিন। আমেরিকায় তৈরি এই মেশিন দিয়ে কেটে উদ্ধারকাজের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই এলাকার শিলার বিশেষ প্রকৃতির জন্য উদ্ধারকাজ বার বার থমকে যাচ্ছে।

এই মেশিনটি প্রতি ঘণ্টা ৫-৬ মিটার করে ভেতরে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে ১০-১২ ঘণ্টা ৫০ মিটার ভেতরে যাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু ভেতরে শিলার প্রকৃতি ঠিক কেমন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে এই মেশিন চালু করার জন্য় বিশেষ প্লাটফর্মও তৈরি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য় বিশেষ ধরনের পাইপের ব্য়বস্থা করা হয়েছে। তার মাধ্যমে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই NHIDCL থাইল্যান্ডের একটা উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। যারা বিগত দিনে বন্যায় ভেসে যাওয়া একটি গুহা থেকে ১২জন কিশোরকে উদ্ধার করেছিল।

উত্তরকাশীতে উদ্ধারকাজের জন্য আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অংশু মণীশ খালকো ডিরেক্টর NHIDCL জানিয়েছেন, এখানকার শিলার প্রকৃতি অন্য ধরনের। সেকারণে উদ্ধারকাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

এদিকে ড্রিলিং মেশিন দিয়ে ঘণ্টায় ৫-৬ মিটার ভেতরে যেতে পারে। সেভাবেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১০-১২ ঘণ্টায় ৫০ মিটার যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ভেতরে কী পরিস্থিতি রয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। জানিয়েছেন খালকো।