Nuh Communal Tension: ফের উত্তেজনা হরিয়ানার নুহ-তে, মহিলাদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পাথর, জখম ৯

ফের উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হল হরিয়ানার নুহে। বৃহস্পতিবার রাতে নুহতে ‘কুয়ো পুজো’ করতে যাওয়া কয়েকজন মহিলার উপর একটি মাদ্রাসা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন পাথর ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পাথর ছোঁড়ার জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন মহিলা। এ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে এফআইআর নথিভুক্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে নুহ পুলিশ সুপার (এসপি) নরেন্দ্র বিজার্নিয়া বড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে শান্ত করেন। (আরও পড়ুন: ডিএ বাড়িয়েও সরকারি কর্মীদের খুশি করা গেল না, ‘একলাখি’ চাপের মুখে মোদী)

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটে রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে। একটি মাদ্রাসার কাছে এই ‘হামলা’ চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় একদল মহিলা ‘কুয়ো পুজো’ করতে যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে মহিলারা মাদ্রাসার কাছে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারা হয় এবং এ ঘটনায় ৯ জন মহিলা জখম হন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময়, নুহের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র সিং বিজার্নিয়া বলেন, কিছু মহিলা কুয়ো পুজা করতে যাচ্ছিলেন। সেই কথা জানতে পেরে মাদ্রাসারই কিছু পড়ুয়া তাঁদের দিকে পাথর ছুঁড়েছে। এ ঘটনার পর উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। আমরা জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় কোনও নারীর বড় ধরনের আঘাত লাগেনি।

আরও পড়ুন: ৫ বছরে ৩০০০ নতুন ট্রেন চালু করা হবে, বড় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, ছুটবে ৪০০ বন্দে ভারত

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই একটি ধর্মীয় মিছিলকে আটকানোর অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হরিয়ানার নুহ এবং গুরুগ্রাম জেলায়। সেদিন সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম সোহনা হাইওয়েতে হিংসা ছড়াতে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মস্থানেও হামলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। হিংসার ঘটনায় দুই হোমগার্ড সহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু ঘটে। প্রায় ২৫০০ জন এক শিবমন্দির চত্বরে আশ্রয় নেন। পরে অন্যত্র হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে সেক্টর ৫৭-এর মসজিদে হামলা হয়েছিল। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মসজিটিতে। সেখানে চালানো হয়েছিল গুলি। তাতে মৃত্যু হয়েছিল এক ইমামের। জখম হয়েছিলেন আরও তিনজন। সেই ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল হরিয়ানার এক কংগ্রেস বিধায়ককে।