Burima 2023: প্রসাদ খেলে নাকি পূরণ হয় মনের বাসনা, শরীর মোড়া গহনায়, কৃষ্ণনগরে ২৫১ বছরে জগদ্ধাত্রী ‘বুড়িমা’

চন্দননগরের যেমন জগদ্ধাত্রী পুজো। তেমনি কৃষ্ণনগরেরও জগদ্ধাত্রী পুজোর বেশ নামডাক। তবে নবমী থেকে এই পুজো শুরু হয়। আর কৃষ্ণনগরের পুজো মানেই বুড়িমার জগদ্ধাত্রী পুজো। অপূর্ব তাঁর রূপ। সেই পুজোর টানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ জড়়ো হন মণ্ডপে।

২৫১ বছরে পা দিল কৃষ্ণনগরের বুড়িমা। যিনি জগৎ সংসারকে ধারণ করেন তিনিই জগদ্ধাত্রী। দেশ বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন বুড়িমার কাছে। তাঁদের অগাধ বিশ্বাস বুড়িমার প্রসাদ মুখে দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়। অপূর্ব মায়ের সাজ।সেই সাজের টানেও মানুষ আসেন বুড়িমা দর্শনে।

বাংলার আলোর শহর চন্দননগর। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেজে উঠেছে কৃষ্ণনগরও। এই কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর একটা প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। আর কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই যে প্রতিমার কথা সবার আগে আসে তিনি বুড়িমা। ভক্তদের বিশ্বাস তিনি অত্যন্ত জাগ্রতা। মায়ের কাছে মন থেকে চাইলে মা তা পূরণ করেন। প্রতি বছর বহু ভক্ত মায়ের কাছে মনস্কামনা করেন। রাজ্যের বিভিন্ন থেকে ভক্তরা এই পুজোতে আসেন। শুধু রাজ্য নয়, রাজ্য়ের বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন এই পুজোতে। কৃষ্ণনগর চাষাপাড়া এলাকায় দেবী দর্শনে আসনে হাজার হাজার ভক্ত।

অপূর্ব সাজে সাজানো হয় দেবীকে। কেউ বলেন ১২ কেজি গহনায়, কেউ বলেন ৯ কেজি গহনায় সাজানো হয় মাকে। লোকমুখে এমন কথাই ফেরে। তবে পুলিশ পাহারায় মাকে গহনা পরানো হয়। মায়ের সেই অপূর্ব সাজ দেখতে ভক্তদের লাইন পড়ে যায়। সেই সঙ্গে লাইন পড়ে মায়ের ভোগ পাওয়ার জন্য। এই ভোগকেই মহাপ্রসাদ বলে গণ্য় করা হয়।

তবে শুধু দেবী দর্শন নয়, দেবীর ভোগ পাওয়ার জন্যও ভক্তদের মধ্য়ে উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এবার অন্তত ৩০-৩৫ হাজার দর্শনার্থী এই মহাপ্রসাদ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

মাকে নিবেদন করার পর তা মহাপ্রসাদ বলে গণ্য করা হয়। সেই মহাপ্রসাদ এরপর ভক্তদের মধ্য়ে বিতরণ করা হয়। প্রায় ৫০ কুইন্টাল চাল, ২ কুইন্টাল দারচিনি, ১৩ কুইন্টাল ঘি এই ভোগ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এলাচ, কাজু, কিসমিসও লাগে মায়ের মহাপ্রসাদের জন্য।

সানাই আওয়াজ, মঙ্গল শঙ্খ বাজছে মণ্ডপ প্রাঙ্গনে। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপকে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন এই পুজো দেখার জন্য।