Rohingyas news: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে নারাজ! বন্দরে ভিড়তেই ফেরাল ইন্দোনেশিয়রা! জানাল কারণ

একবার নয়, পরপর দুবার তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ইন্দোনেশিয়ার আসেহ সমুদ্র সৈকত থেকে ফিরে গেল রোহিঙ্গারা। পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে কম বেশি ২৪০ জন রোহিঙ্গা ছিল ওই দলে। আশ্রয়ের খোঁজেই সেখানে ভিড়বার চেষ্টা করে তারা‌। কিন্তু বাধ সাধল স্থানীয়রা। প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেখানে নৌকা ভিড়ানো সম্ভব হয়নি। একবার ব্যর্থ হওয়ার পর ফিরে গিয়েছিল রোহিঙ্গাদের ওই দল। কিন্তু পরে আবার তারা ফিরে আসে। সেবারেও একইরকম প্রতিরোধে পড়তে হয় তাঁদের। এর পরই নিশ্চিতভাবে ইন্দোনেশিয়ার ওই এলাকা সৈকত ছেড়ে বেরিয়ে যায় রোহিঙ্গারা‌ ।

(আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য নিয়ে বড় পরিকল্পনা অ্যামাজনের! ২০০০ কোটির সওদা হবে বিদেশে)

এই প্রসঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই নৌকাটি ইন্দোনেশিয়ার আসেহ উতারা জেলায় নোঙর করার চেষ্টা করে। আসেহ প্রদেশের অন্যতম বিখ্যাত এই সৈকত এলাকা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা এটি। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর নোঙর তুলতে বাধ্য হয় তারা‌।  গত মঙ্গলবার থেকে এই নিয়ে চারটি নৌকা পৌঁছেছে ইন্দোনেশিয়াতে। ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে উত্তর দিককেই টার্গেট করেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। একটি নৌকা আসেহ প্রদেশের উতারা জেলায় নোঙর করার চেষ্টা করে। তবে বাকি তিনটি জেলা অন্যান্য সমুদ্রসৈকতকে বেছে নিয়েছিল বলে খবর। মুয়ারা বাতু জেলার উলি মাদন বিচের বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে‌। তাদের কথায়, এর আগেও ওই অঞ্চলে বড় সংখ্যক রোহিঙ্গারা এসেছেন। কিন্তু তাদের জন্য স্থানীয়দের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

(আরও পড়ুন: দূষণ কমাতে পেট্রোল নিয়ে বড় পরিকল্পনা! দক্ষিণী দেশগুলিকেও ডাক দিল ভারত)

মুয়ারা বাতু জেলার ঐতিহ্যশালী নেতা সইফুল আফওয়াদি শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন রোহিঙ্গাকে তাঁরা থাকার জন্য সাময়িক আশ্রয় দিতে পারেন। কিন্তু পাকাপাকি থাকার বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয়। পুনর্বাসনের কথা উঠলেই নারাজ হচ্ছেন সকলে। 

অন্যদিকে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা রহমত কার্পোলো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গাদের তারা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সে অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। আশ্রয় দেওয়া সত্ত্বেও অনেকে পালিয়ে যান সেটি ছেড়ে। এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি তাঁরা আর চান না। তাই রহমতের মতো মানুষরাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন রোহিঙ্গাদের থেকে। তবে তাদের বয়ানে এও ঠিক, খোলা রয়েছে সাময়িক আশ্রয় শিবির। চাইলেই সেখানে আসতে পারেন তাঁরা।