Bacterial Pneumonia: সর্দিকাশিই কেড়ে নিল হাত-পা! বীভৎস গল্প শোনালেন বছর ৪২-এর এই মহিলা

সাধারণ সর্দিকাশি। কিন্তু সেটাই হয়ে উঠল জীবনের অন্যতম বিভীষিকা। গোটা জীবনটাই পাল্টে দিল ওই সাধারণ সর্দিকাশি। সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে ওহায়োতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যের এক বাসিন্দার জীবন বদলে দিল একটু ঠান্ডা লাগা। কোভিডের সময় তার ঠান্ডা লেগেছিল।‌ আর তা থেকেই দুই হাত দুই পা অকেজো হয়ে গেল তাঁর। এই ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে চিকিৎসক মহলে। 

(আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য নিয়ে বড় পরিকল্পনা অ্যামাজনের! ২০০০ কোটির সওদা হবে বিদেশে)

ক্রিস্টিন ফক্স নামের ওই মহিলা পেশায় একটি স্কুলের নিয়ামক। তাঁর সাধারণ গলা ব্যথার উপসর্গ দেখা দেয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। কোভিড তখন সবেমাত্র ত্রাস ছড়াতে শুরু করেছে। চিকিৎসককে গলা ব্যথার সমস্যা দেখাতে গেলেও ক’দিন বাদে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সরাসরি লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয় তাঁকে। কারণ তাঁর রক্তচাপ ও অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি ক্রিস্টিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেন, সেই সময় মৃত্যুর খুব কাছাকাছি রয়েছেন বলে মনে হয়েছিল তাঁর। ৩০ মিনিটের মধ্যে তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়‌। এতটা তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি বলে জানান ক্রিস্টিন। 

(আরও পড়ুন: দূষণ কমাতে পেট্রোল নিয়ে বড় পরিকল্পনা! দক্ষিণী দেশগুলিকেও ডাক দিল ভারত)

বছর বিয়াল্লিশের তরুণী বলেন, পরে হাসপাতাল তাঁকে জানায় তাঁর রোগের কথা। কী হয়েছিল তাঁর ? ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া।  সেই নিউমোনিয়া রীতিমতো প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছিল। দুই কিডনি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল তাঁর। একইসঙ্গে একটি ফুসফুসও ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।  তাঁর এই অবস্থা দেখে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক কর্মীরা। এই সময় এক ফাদারকেও হাসপাতালে ডেকে আনা হয়েছিল। তবে সব আশঙ্কাকে মিথ্যে করে বেঁচে ওঠেন ক্রিস্টিন।

তাঁর কথায়, কিছুদিন পর চিকিৎসকরা আবিষ্কার করেন সেপসিস। তাঁর শরীরের বেশ কিছু অংশ‌‌ সেপটিক হয়ে গিয়েছে। তাঁকে বাচাতেই তখন ইনডিউসড কোমার ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে তাঁকে ভেসোপ্রেশার ওষুধ দেওয়া শুরু হয়। সেই সময় কোনও রোগীরই বাড়ি থেকে কারওর থাকা অনুমোদন করেনি ওই হাসপাতাল। কিন্তু ক্রিস্টিনের জন্য ছাড় ছিল। তাঁর স্বামীকে তাঁর সঙ্গে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়। অবশেষে ক্রিস্টিন যখন সুস্থ হয়ে ওঠেন, তখন তাঁর চার হাত পা-ই অসাড় হয়ে যায়‌। তবে প্রাণে বেঁচে যান ক্রিস্টিন‌। আগের মতো করে না পেলেও তাঁর স্বামী ও পরিবারও ক্রিস্টিনকে ফিরে পেয়ে বেশ খুশি। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।