নিম্নমানে চাল সরবরাহ, দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের শো-কজ খাদ্য দফতরের

সম্প্রতি সরকারি গুদাম থেকে নিম্নমানের চাল সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি আর না হয় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করেছে খাদ্য দফতর।

খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এক টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যে সব আধিকারিকরা ওই চাল সরবারহের দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

রথীন ঘোষ বলেন, ‘রাতরাতি সব কিছু ঠিক করা সম্ভব নয়। যে অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে ইনস্পেক্টররা ডেলিভারি সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ইতিমধ্যে শো-কজ করা হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানাতে চাওয়া হয়েছে। জবাব সঠিক না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী ই-পস ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন,’ই-পস ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বচ্ছ। বিগত মাসের বরাদ্দ খরচ না করলে ডিলারের পরের মাসের বরাদ্দ কাটা যাবে।’

আবার যদি ই-পসের তথ্যে গণ্ডোগোল থাকলে ডিলাররা অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ জানালেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। 

রেশনে নিত্যদিনের অভিযোগ থাকে সঠিক পরিমাণে সামগ্রী দেওয়া হয় না। ওজনে কম থাকে। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য , ‘স্বচ্ছতা আনতে ই-পসের সঙ্গে ই-ওয়েইং ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। ওজন কম থাকলে মেশিন থেকে স্লিপই বের হবে না।’

অনেক সময় ডিলারদের অভিযোগ থাকে, হোলসেল পয়েন্ট থেকে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্ত্রীর পরামর্শ, ডিলাররা যেন হোলসেল পয়েন্ট থেকে রেশন সামগ্রী নেওয়ার সময় ওজন বুঝে নেন। ওজন যদি কম থাকে তবে ডিলাররা নেবেন কেন। তাঁর সই না করলে ডিস্ট্রিবিউটাররা টাকা পাবেন না।  

তাছাড়া রেশন ডিলারদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন বস্তা ফুটো করে চাল পরীক্ষা করে নেন। বস্তার গায়ে প্রিন্ট করা এক্সপাইরি ডেট দেখে নেন।

গ্রাহকদের প্রতিও মন্ত্রীর পরামর্শ, তাঁরা যেন রেশন দোকান থেকে সমস্ত খাদ্য সামগ্রী যেন বুঝে নেন। ওজনে কম থাকলে বা সামগ্রী নিম্নমানের হলে তাঁরা তা ফেরত দেবেন। প্রতিমাসে রেশন নেওয়ার সময় সমস্ত সামগ্রীর হিসাব এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইলে চলে আসে। সেক্ষেত্রে বাড়তি কোনও সামগ্রী তার নাম করে তুলে নেওয়া হয় তাও তিনি দেখতে পাবেন। সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ তিনি জানাতে পারবেন।