Nihang Sikh kills Police in Punjab: গুরুদ্বারে নিহঙ্গ শিখদের সাথে সংঘর্ষ পুলিশের, নিহত এক কনস্টেবল, জখম ৫

বৃহস্পতিবার ভোররাতে পঞ্জাবের কাপুরথালার সুলতানপুর লোধিতে নিহঙ্গ শিখদের সাথে সংঘর্ষ পুলিশের। এই ঘটনায় পঞ্জাব হোম গার্ডের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। গুলির লড়াইতে পাঁচ পুলিশ সদস্যও জখম হয়েছেন। এই গুলির লড়াই গুরুদ্বারে হয় বলে জানা গিয়েছে। নিহত কনস্টেবলের নাম জসপাল সিং। তিনি সুলতানপুর লোধি থানায় নিযুক্ত ছিলেন। (আরও পড়ুন: ‘ট্রুডোর বিস্ফোরণে’ হয়েছিল বন্ধ, ২ মাস পর ফের কানাডায় ই-ভিসা দিতে শুরু করল ভারত)

আরও পড়ুন: আমেরিকায় খলিস্তানিকে খুনের চেষ্টা নিয়ে অভিযোগ বাইডেন প্রশাসনের, মুখ খুলল ভারত

জানা গিয়েছে, প্রধান গুরুদ্বার বের সাহেবের বিপরীতে অবস্থিত গুরুদ্বার অকাল বুঙ্গার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত তিন দিন ধরে দুই নিহঙ্গ গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেই সময় মান সিংয়ের নিহঙ্গ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিল গুরুদ্বারটি। পুলিশ সেখানে গিয়ে গুরুদ্বার খালি করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠে। মান সিং গোষ্ঠীর সদস্যরা পুলিশের দলটিকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এতে একজন হোম গার্ড কনস্টেবল নিহত হন এবং পাঁচ পুলিশ সদস্য জখম হন। তাঁরা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। (আরও পড়ুন: ই-ভিসা পরিষেবা শুরু হতেই কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা দিলেন জয়শংকর)

আরও পড়ুন: ‘অবাক হয়েছিল ভারত…’, খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার ছক প্রসঙ্গে বলল আমেরিকা

উল্লেখ্য, এর আগে গুরুদ্বারটি পাতিয়ালার বাবা বুধা দল বলবীর সিংয়ের দখলে ছিল। কিন্তু ২১ নভেম্বর তার প্রতিপক্ষ মান সিংয়ের গোষ্ঠী এসে গুরুদ্বারের দুই কর্মচারীর ওপর নৃশংস ভাবে হামলা চালায়। পরে গুরুদ্বারটি বেআইনিভাবে দখল করে নেয় তারা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ইতিমধ্যেই ২১ নভেম্বরের ঘটনায় খুনের চেষ্টা এবং আইপিসির অন্যান্য ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। বুধবার মান সিং গোষ্ঠীর ১০ জন নিহঙ্গকে গ্রেপ্তার করেছে। এখনও গুরুদ্বারের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। নিজেদের গুরু গোবিন্দ সিংহের বংশধর হিসাবে দাবি করা নিহঙ্গ শিখরা বরাবরই হিংসাত্মক। এর আগে কোভিডকালে একজন পুলিশকর্মীর কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নিহঙ্গদের বিরুদ্ধে। সিঙ্ঘুতে কৃষক আন্দোলনের সময় এক ব্যক্তিকে নৃশংস ভাবে খুন করারও অভিযোগ উঠেছিল নিহঙ্গদের বিরুদ্ধে।