সংগঠিত অপরাধী, বন্দুকবাজ, জঙ্গিদের নিয়ে ভারতের সঙ্গে কিছু তথ্য ভাগ করে নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যা দু’দেশের কাছেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক। খলিস্তানি জঙ্গি নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এমনই জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সূত্র উদ্ধৃত করে যে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আমেরিকায় খলিস্তানি জঙ্গি গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টা রুখে দেয় মার্কিন প্রশাসন। সেই ঘটনায় আমেরিকা ভারতকে সতর্ক করেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকা যে তথ্য দিয়েছে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এরকম বিষয়ের সঙ্গে ভারতের জাতীয় সুরক্ষা জড়িয়ে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের বিভিন্ন দফতর ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে বুধবার রাতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনের বিষয়ে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। খলিস্তান বা খলিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে নিয়েও খরচ করা হয়নি কোনও শব্দ। শুধুমাত্র ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ইন্দো-মার্কিন বৈঠকে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংগঠিত অপরাধী, বন্দুকবাজ, জঙ্গি ও অন্যান্যদের বিষয়ে কিছু তথ্য ভাগ করে নিয়েছে আমেরিকা। যে তথ্য দু’দেশের জন্যই উদ্বেগের। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: Khalistani Issue: খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার চেষ্টা! বাঁচাল আমেরিকা, সতর্ক করল ভারতকে, দাবি রিপোর্টে
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই ধরনের তথ্য (আমেরিকা যে তথ্য ভাগ করে নিয়েছে ভারতের সঙ্গে) বিবেচনা করে থাকে ভারত। কারণ বিষয়টি আমাদের নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের উপরও আঘাত হানছে। আমেরিকা যে তথ্য ভাগ করে নিয়েছিল, তা ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি।’ কী কী তথ্য দিয়েছে আমেরিকা, তা অবশ্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়নি।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে কী দাবি করা হয়েছে? সূত্র উদ্ধৃত করে দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-র নেতা তথা খলিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা দাবি করেন, গত জুনে নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের পরে নয়াদিল্লিকে সেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু হয়েছে বলেও আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: S Jaishankar on Canada Issue: চরমপন্থীদের সমর্থন করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াকে জানিয়েই দিলেন জয়শংকর