‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচিতে সাফল্যের পর স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের কথা শুনবেন গৌতম দেব

কলকাতা পুরসভার অনুকরণে ‘টক টু মেয়র’ বা ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। সেই কর্মসূচিতে ভালোই সাফল্য মিলছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিজেদের অভিযোগ জানাচ্ছেন। আর তাতে সমাধানও হচ্ছে। এতদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারায় তাদের সমস্যার কথা জানাচ্ছিলেন। আর এবার শহরের স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের সমস্যার কথা জানতে চাইছেন মেয়র গৌতম দেব। সেই কারণে তিনি শহরের স্কুল কলেজগুলিতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন।

আরও পড়ুন: আচমকা কেন ব্যবসায়ীদের ওপর রেগে গেলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব?

যদিও কবে থেকে তিনি স্কুল-কলেজে যাবেন বা কখন যাবেন? সে বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে শহরের স্কুল–কলেজগুলির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরির পর কয়েকদিনের মধ্যেই মেয়র গৌতম দেব স্কুল–কলেজগুলিতে গিয়ে পড়ুয়াদের ভাবনা এবং সমস্যা নিয়ে কথা শুনবেন। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল এবং শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হলেন গৌতম দেব। মেয়র আগেই জানিয়েছিলেন তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাদের সমস্যার কথা শুনবেন। এবার সেইমতো সেই কাজ দ্রুত করতে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি যে দুটি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সেই দুটি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। মেয়র জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পরেই মেয়র গৌতম দেব একাধিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘মানুষের কাছে চলো’ কর্মসূচি। তবে সেই কর্মসূচি আপাতত বন্ধ আছে। তবে দ্রুতই তিনি শহরের বাকি এলাকাগুলিতে যাবেন। এছাড়া, ‘মেয়র কে বলো’ কর্মসূচির ৫০ তম পর্বে পড়ুয়াদের নিয়ে একটি কর্মসূচির কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্লেখ্য, প্রতি শনিবার সাধারণ মানুষ মেয়রের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান এই কর্মসূচিতে। সেক্ষেত্রে মেয়র গৌতম দেব কয়েক ঘণ্টা ধরে শহরবাসীর নানান অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। সেই মতো পুরসভার তরফে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। সেক্ষেত্রে সমাধান হলে অনেকেই ধন্যবাদ জানাতে ফোন করেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি শনিবার প্রায় গড়ে ৩০ টি ফোন ধরেন মেয়র। কোনও সমস্যা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। সাধারণত ছোটখাটো সমস্যা দু-তিন দিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। বড় সমস্যা হলে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের মতে, সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শোনার পর সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।