বিল মেটানো নিয়ে ঝামেলা, বারে মারপিট করে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত ডাক্তারি পড়ুয়ারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল ডাক্তারি পড়ুয়ারা

বারে গিয়ে বিল মেটানোকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় একজন জুনিয়র ডাক্তার এবং দুই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হল। ঘটনাটি অসমের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (জিএমসিএইচ) । এর পাশাপাশি তাদের হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া হস্টেলের আরও ১৫ জন আবাসিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: নেশার প্রতিবাদ করায় NRS-এ জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর ও শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ৩ শ্রমিক

কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ অচ্যুত বৈশ্য জানান, ৪ জন জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়া বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপানের জন্য শহরের একটি বারে গিয়েছিল। ওই তিনজন মদ্যপান করলেও তাদের সঙ্গে থাকা আরও এক ছাত্র মদ্যপান করেননি। শুধুমাত্র রাতের খাবার খেয়েছিলেন। এরপর সেখানে কে বিল মেটাবে? তাই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ১৪ জন আবাসিক ঘটনাস্থলে যায়। আহত ছাত্রদের মধ্যে একজন গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ। তবে  পরে যে ১৪ জন সেখানে গিয়েছিলেন তারা লড়াইয়ে জড়িত ছিলেন না বলে ডাঃ বৈশ্য জানিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই কর্তৃপক্ষ তাদের ডেকে পাঠায় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা মারধরের কথা স্বীকার করে নেন। এরপর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা হিসেবে ছয় মাসের জন্য কলেজ থেকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি আজীবনের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চতুর্থ ছাত্র যে তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং অন্য ১৪ জন ছাত্র যারা পরে পৌঁছেছিলেন তাদেরও ৩ মাসের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কেন বাকি ছাত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অধ্যক্ষ জানান, ওই ছাত্ররা যখন বারে থাকা ছাত্রদের ঝামেলার কথা জানতে পেরেছিলেন তখন তাদের উচিত ছিল ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে না গিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানানো। কারণ রাতে হস্টেল থেকে বেরোনোর জন্য অনুমতির প্রয়োজন। তাই তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্ররা সকলেই হস্টেলের ৪ নম্বর ব্লকের আবাসিক। ইতি মধ্যেই এই ঘটনায় থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ পর্যাপ্ত প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।