Binay Tamang: কংগ্রেসে যোগ দিলেন পাহাড়ের বিনয় তামাং, এর আগে তিন দল ঘুরে এসেছেন, ডিগবাজিতে নজির!

শেষ পর্যন্ত গেলেন কংগ্রেসে। GNLF, মোর্চা, তৃণমূল, সব ঘুরে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ঘরে ঠাঁই নিলেন পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং। কালিম্পংয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই যোগদানের মাধ্য়মে তাঁর রাজনৈতিক বৃত্ত কতটা সম্পূর্ণ হল তা নিয়ে সন্দেহটা থেকেই গিয়েছে। কারণ এখানেই যে তাঁর রাজনৈতিক যোগদানের যাত্রা শেষ হয়ে গেল এমনটা নয়। তবে কি তিনি কিছুদিনের মধ্যে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে প্রাক্তন দল তৃণমূলে যোগ দেবেন?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আবহাওয়ার মতোই পাহাড়ের রাজনীতি ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। আজ যিনি মোর্চায়, কাল তিনি বিজেপিতে। আর সেই বদলের প্রতীক হলেন বিনয় তামাং। ৬৪দিনের মধ্য়ে তৃণমূল ছেড়ে আবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে নজির গড়েছিলেন তিনি।

বিনয় তামাংয়ের রাজনৈতিক জার্নিটা বেশ অদ্ভূত। একটা সময় তিনি ছিলেন সুবাস ঘিষিং ঘনিষ্ঠ। জিএনএলএফ নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন পাহাড়ে। এরপর তিনি বিমল গুরুংয়ের হাত ধরেন। আচমকাই বিমল- বিনয়ের জুটি গড়ে ওঠে পাহাড়ে। পরে আবার বিমল গুরুংয়ের হাত ছেড়ে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই সময় পাহাড়ে ঘাসফুল চাষ করার জন্য তিনি একেবারে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সেই মধুচন্দ্রিমা বেশি দিন থাকল না। তিনি আচমকাই তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা ছিন্ন করে দেন। এরপর তিনি কোথায় যোগদান করবেন তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। নানা জনে নানা কথা বলতে থাকেন। তবে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয় তামাং ক্রমেই প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছিলেন।

তবে তৃণমূল ছাড়ার পরে বিনয় তামাং ঠিক কোন নৌকায় উঠবেন তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে এবার তিনি হাত চিহ্নে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে একেবারে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস। পাহাড়েও কংগ্রেসের সাইনবোর্ড খুঁজে পাওয়াটাই চাপের। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি-মাটিগাড়া এলাকায় কংগ্রেসের কিছু প্রভাব রয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিনয় কতটা সুবিধা করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে অনেকের মতে পাহাড়ে বিনয়ের রাজনৈতিক জমি একেবারে ধসে গিয়েছে। লোকসভার মুখে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই তিনি কংগ্রেসকেই বেছে নিলেন।