Upper primary counselling: অস্ট্রেলিয়া থেকে এসে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিলেন প্রার্থী

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে গত ৬ নভেম্বর থেকে। ২ ডিসেম্বর চলবে পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং। পরীক্ষার পরেও দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না হওয়ায় অনেকেই নিয়োগের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। যার ফলে কাউন্সিলিংয়ে অনুপস্থিতির সংখ্যাও বেড়েছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জেনেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতা করার। কিন্তু নিয়োগ না হওয়ার কারণে একসময় তিনি সেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ায় আবার নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন প্রণীতা মিশ্র নামে ওই প্রার্থী। 

আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিংয়ে এখনও পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকলেন ৩০০ জন প্রার্থী

কাউন্সেলিংয়ে শিক্ষকতার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৭০০  কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আলিপুরদুয়ারের একটি স্কুলও বেছে নিয়েছেন তিনি। প্রণীতা ২০১৫ সালে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।কিন্তু, পরীক্ষার কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পরেও নিয়োগের কোনও লক্ষণ না দেখায় শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন ছেড়েই দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি একটি ক্লিনিকাল ড্রাগ ট্রায়াল গবেষণায় সমন্বয়কারী হিসাবে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে যোগদান করেন। ওই বছরই কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত মে মাসে স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাজ করেছিলেন। কিন্তু, কাউন্সেলিংয়ের খবর পেয়ে তিনি আবার ৫০০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে মেদিনীপুরে ফিরে আসেন। প্রণীতা বলেন, ‘আমি সবসময় একজন শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলাম। এটা আমার আবেগ এবং স্বপ্ন। আমি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। তবে এই সমস্যাটি দেখা দেয় নিয়োগ নিয়ে। তারপর আমি এনিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করে জীবিকা অর্জনের বিকল্প পথ অনুসন্ধান করতে বাধ্য হয়েছিলাম।’

প্রসঙ্গত, ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকায় নাম রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৪ জন প্রার্থীর। তার মধ্যে ৯ হাজার প্রার্থীর কাউন্সেলিং হচ্ছে। প্রণীতা বলেন, ‘কাউন্সেলিং চলাকালীন আমাকে বিকল্প হিসাবে আলিপুরদুয়ারের স্কুল বেছে নিতে বলা হয়েছিল। আমি সেটা বেছে নিয়েছিলাম। স্বপ্ন পূরণের জন্য অজানা জেলায় একা থাকার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।’ এই অবস্থায় যাতে তিনি তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দিতে পারেন সেই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, তাঁর মতো আরও অনেকে আছেন যারা ভিন রাজ্য বা দেশ থেকে এসে কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিয়েছেন।এবিষয়ে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আমরা খুশি যে আমরা প্রার্থীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পেরেছি।’