Bratya Basu on Actor Mosharraf Karim: বাজল ২৪-এর দামামা, কাকলি ঘোষদস্তিদারকে জেতাতে ব্রাত্যর ‘মোশারফ করিম টোপ’

আর কয়েক মাস। তারপরই ২০২৪ সালে পদার্পণ করব আমরা। শুরু হয়ে যাবে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি। অবশ্য, ২৪-এর ভোটের ছক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে এরই মধ্যে। এই আবহে অশোকনগরে নাট্যোৎসবের মঞ্চ থেকে কাকলি ঘোষদস্তিদারের হয়ে সওয়াল করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার যে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও বারাসত থেকে লড়া করবেন, তাই বুঝিয়ে দিলেন ব্রাত্য। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিমকে নিয়ে দিলেন ‘টোপ’। (আরও পড়ুন: ৬ দিনের ধর্মঘট কর্মসূচি নিয়ে বড় ঘোষণা ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের, কী জানা গেল?)

উল্লেখ্য, অশোকনগর নাট্যোৎসব কমিটির অনুষ্ঠানে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি অভিনেতা মোশারফ করিমও। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সেই অনুষ্ঠানেই ভাষণ দিতে উঠে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘মোশারফ করিমকে আবার দেখতে চাওয়ার দাবি উঠছে। সেই কাজটা একমাত্র নারায়ণই করতেতে পারেন। আমরা তাঁকে এতে সঙ্গ দিতে পারি। আর সেটা তখনই সম্ভব হবে, যখন ২০২৪ সালের ভোটে কাকলি ঘোষদস্তিদার অশোকনগর থেকে বিরাট ভোটের লিড পাবেন। তাহলে নারায়ণের পক্ষে কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে। অশোকনগরের দিকে দিকে এই কথাটা ছড়িয়ে দেবেন – মোশারফ করিমকে দেখতে চাইলে কাকলি ঘোষদস্তিদারকে জোড়া ফুল চিহ্নে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন।’

এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোট প্রচার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন অভিনেতা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ফেরদৌস আহমেদ। সেই ঘটনার পর তাঁর বিজনেস ভিসা বাতিল করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে তাঁকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছিল। মোশারফ করিম অবশ্য কোনও প্রচারের অংশ হননি। তবে প্রচার শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়েই। এই আবহে ব্রাত্যর এই ‘ঘোষণা’ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এদিকে এই সব বিতর্কে না ঢুকে মোশারফ করিম বলেন, ‘আমি এই দেশে আরও বেশি করে নাটক করতে আসতে চাই। আমার এখানে আসতে ভালো লাগে।’ তবে ব্রাত্যর এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শ্যামলেন্দু দে তৃণমূল আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘আসলে তৃণমূল দলটায় আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ব্রাত্য বসু শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতাকে চরম পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। কোনটা নাট্য উৎসব আর কোনটা তৃণমূলের মঞ্চ সেটাও ভুলে গিয়েছেন। তাঁদের থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশাও করা যায় না।’ এদিকে অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা সত্যসেবী কর এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘নাট্য উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভোটের প্রচার একমাত্র তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব।’