School Holidays 2024: ইদে তিনদিন করে ছুটি স্কুলে, ক্যালেন্ডার দেখেই রেগে লাল BJP, এসব কী হচ্ছে!

অরুণ কুমার

হিন্দুদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুজোতে স্কুলের ছুটির দিনে কাটছাঁট করল বিহারের স্কুল শিক্ষা দফতর। গত তিন মাসে দ্বিতীয়বার এই ঘটনা হল বলে খবর। 

এদিকে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নীতীশ কুমার পরিচালনাধীন বিহার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিহারকে ইসলামিক স্টেট বলে ঘোষণা করার কথা জানিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। 

আসলে ২০২৪ সালের স্কুলের ছুটির ক্য়ালেন্ডার প্রকাশ্য়ে এসেছে। এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য ভেসে আসছে। এই নতুন ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছ সব মিলিয়ে ৬০দিন ছুটি রয়েছে। তার মধ্য়ে তিনদিন করে ইদ আর বকরিদের জন্য। দুর্গাপুজো আর ছটের জন্য় যেমন ছুটি তেমন ওই পরবের জন্য়ও ছুটি। তবে ২০২৩ সালেও স্কুলে ৬০দিনের ছুটিই ছিল। 

বিজেপির দাবি এসব করতে গিয়ে নীতীশ কুমারের সরকার একটা সম্প্রদায়কে তোষামোদ করছে। তবে জেডিইউ মুখপাত্রের দাবি, সব কিছুকেই ওই ধর্মের চোখ দিয়ে দেখতেই হবে? শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে কমপক্ষে ২২০ দিন শিক্ষাদিবসকে রক্ষার জন্য় এটা করা হয়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, যদি কোনও বৈষম্য থাকে তবে শিক্ষা দফতর দেখবে। এটাকে শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে দেখা দরকার। এটাকে ধর্মের চোখ দিয়ে দেখাটা উচিত নয়। শিক্ষা দফতর স্কুলের ছুটির দিন নিয়ে দুটি চিঠি দিয়েছে। একটা হল প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি স্কুলের জন্য। আর অন্য়টা হল সংখ্যালঘুদের সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলের জন্য। তবে বসন্ত পঞ্চমীতে ছুটি নেই সহ নানা ভুল কথা বলা হচ্ছে। শিবরাত্রি, জানকী নবমী, বুদ্ধ পূর্ণিমার মতো মুসলিমদের উৎসবের ছুটি কিছু বেড়েছে, কিছু কমেছে। 

তবে বিজেপি এমপি সুশীল মোদী জানিয়েছেন, হিন্দুদের সেন্টিমেন্টকে আঘাত করা হয়েছে। মুসলিমদের উৎসবে ছুটির দিন এভাবে বাড়িয়ে দেওয়া আর হিন্দুদের উৎসবে কমিয়ে দেওয়া এর পেছনে কোনও যুক্তি থাকতে পারে? তিনি বলেন, ওরা ভাবছেন জাতিগতভাবে ভাগ করে দিয়ে হিন্দু ভোট ওরা পাবেন আর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় প্রতি শুক্রবার ছুটি দিয়ে মুসলিমদের মন জয় করবেন।