Student death: স্কুলের ক্যাম্পাসেই জলে ডুবে মৃত্যু ছাত্রের, পরিবারের অভিযোগে ধৃত মালিক

ফের স্কুলের মধ্যে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। স্কুলের ক্যাম্পাসেই জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ স্কুলের মালিক গৌতম দাস এবং ধীরা পাল দাসকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার রানিগঞ্জের একটি স্কুলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।ওই ছাত্রের নাম শুভজিৎ দত্ত। সে নবম শ্রেণির ছাত্র। 

আরও পড়ুন: কলকাতার হস্টেলে উদ্ধার হেরিটেজের ছাত্রীর মৃতদেহ, কারণ নিয়ে তদন্তে পুলিশ

জানা গিয়েছে, ওই স্কুলটি মজীবনপুর পুরসভার বাইপাস লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত। সোমবার সকালে স্কুল ক্যাম্পাসের জলে শুভজিতের দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে একটা নাগাদ স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের ফোন করে এ বিষয়টি জানানো হয়। যদিও পরিবারের দাবি, ঘটনাটি ঘটেছে সকালে অথচ তাদেরকে জানানো হয়েছে দুপুরে। তাতেই রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পরিবার।

তাদের বক্তব্য, শুভজিৎ সাঁতার জানত। ফলে কোনওভাবেই তার ডুবে মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাদের বক্তব্য, স্কুলে কথা সিসিটিভির নজরদারি নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন তাদের বিষয়টি অনেক দেরিতে জানাল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। এরপরে পুলিশ স্কুলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের গ্রেফতার করে। স্কুলের মালিক গৌতম দাসের বক্তব্য, কীভাবে ঘটেছে সে বিষয়টি তার জানা নেই। ফলে ওই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও কীভাবে ছাত্রের মৃত্যু ঘটল সেই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

 উল্লেখ্য, মাঝখানেক আগে কলকাতার একটি স্কুলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। কলকাতার কসবায় একটি স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। সেই ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে ছাত্রকে খুনের অভিযোগ তুলেছিল মৃতের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, প্রোজেক্ট না করে স্কুলে যাওয়ায় দিনভর হেনস্থা করা হয় ওই ছাত্রকে। তার জেরে এই মৃত্যু। সেই সংক্রান্ত মামলা এখনও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।