WB Student suicide in Kota: কোটায় আত্মঘাতী বাংলার বছর ২০-র পড়ুয়া, নিচ্ছিলেন NEET-এর প্রস্তুতি

ফের কোটায় আত্মহত্যা পড়ুয়ার। এই নিয়ে চলতি বছরে ২৭তম আত্মহত্যার ঘটনা এটি। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম ফরিদ। কোটার ওয়াকফ নগরে থাকতেন তিনি। ডাক্তারি পড়াশোনার জন্য নিট-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। গত সন্ধ্যায় ২০ বছর বয়সি ফরিদের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর ঘর থেকে। তবে এখনও কোনও সুইসাইড নোট পুলিশের হাতে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রের দেহ ময়নাতদনের জন্যে পাঠানো হয়েছে জেলা মেডিক্যাল হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত জারি আছে। ফরিদের বাবা-মাকে কোটায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সেখানে গেলে ফরিদের ঘরে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। (আরও পড়ুন: রাতেই পাথর ফুঁড়ে ‘হাফ সেঞ্চুরি’, আর মাত্র ৫ মিটার দূরে টানেলে অপেক্ষা করছেন ৪১ শ্রমিক)

রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল বিকেলে ৪টে নাগাদ শেষবারের মতো ফরিদকে জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। এরপর সে তাঁর ঘরে চলে গিয়েছিল। ওয়াকফ নগরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফরিদকে দেখতে না পেয়ে সেই বিল্ডিংয়ে বসবাসরত পড়ুয়াদের সন্দেহ হয়। তাঁরা দরজায় ধাক্কা দেন, ডাকাডাকি করেন। তবে কোনও সাড়া পান না। এরপরই বাড়ির মালিককে জানানো হয় ঘটনাটি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে দেখা যায়, ফরিদের দেহ ঝুলছে। তড়িঘড়ি ফরিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মাধ্যমিকের পরই দেশের লাখ লাখ পড়ুয়া কোটার টিকিট কাটে। রাজস্থানের এই শহর গোটা দেশের শিক্ষামহলের কাছেই অতি পরিচিত একটি নাম। ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল প্রবেশিকার প্রস্তুতির জন্যই এই শহরে পা রাখেন লাখ লাখ পড়ুয়া। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ছাত্রদের আত্মহত্যার জন্য আলোচিত হচ্ছে কোটার নাম। চলতি বছরে শুধুমাত্র কোটা শহরেই ২৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে। কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই আবহে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল। প্রসঙ্গত, এই শহরে থাকা শিক্ষার্থীদেরর বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রই JEE এবং NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দু’টি পরীক্ষাকে দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম বলে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু মাত্র কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সুযোগ পায়। প্রকৃতপক্ষে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় দেশে আসন সংখ্যা অনেক কম। এ কারণেই বহু বছর ধরে একটানা প্রস্তুতির পরও সুযোগ না পেয়ে বহু শিক্ষার্থীরা এমন আত্মঘাতী পদক্ষেপ নেয়। অনেকেই এই চাপ নিতে পারে না। এই আবহে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিল, এই সব আত্মহত্যা কোচিং ইনস্টিটিউটের জন্য় হচ্ছে না। আত্মহত্যার ঘটনা হচ্ছে কারণ ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের প্রত্য়াশা পূরণ করতে পারছে না। এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।