Abhishek Banerjee: বিতর্কের জেরে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয় থেকে সরানো হল অভিষেকের ছবি

পঞ্চায়েত সমিতি হল একটি সরকারি কার্যালয। আর এই সরকারি কার্যালয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সে বিতর্ক বাড়তেই পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ের সভাপতির ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ঘটনাটি উলুবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির। সেখানে সভাপতি মালেকা খাতুনের অফিসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকতে দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: হাতিয়ার সেই চিঠি, কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র খতিয়ান মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন অভিষেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় তাঁর ছবি সরকারি কার্যালয় রাখা গেলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সাংসদ। তাই মূলত অভিষেকের ছবি রাখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে বিরোধীরা তো বটেই দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আর সেই কারণেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মালেকা খাতুন বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আলোচনার পরেই এই ছবি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যদিও এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানাতে চাননি। অন্যদিকে, অন্যান্য তৃণমূল নেতারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে এক নেতার কথায় বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরেই ছবিটি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এইভাবে সরকারি কার্যালয়ে ছবি রাখাকে সমর্থন করছেন না উদয়নারায়নপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা। তিনি জানান, যারা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত তাদের এভাবে প্রশাসনিক ভবনে ছবি রাখা ঠিক হয়নি। ছবি সরানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে যে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের বোধোদয় হয়েছে। 

এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। এ বিষয়ে হাওড়া জেলার সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল এভাবে নেতার ছবি সামনে রেখে তাঁকে স্মরণ করে চুরি করছিল। আর এবার ছবির আড়ালে চুরি করবে। অন্যদিকে হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা হল জ্ঞানপাপী। তারা জেনে বুঝে অন্যায় কাজ করে। সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে। বিরোধীরা সরব হওয়ার কারণে তারা পঞ্চায়েত সমিতির অফিস থেকে এভাবে ছবি সরিয়ে দিয়েছে। একটি সরকারি দফতরের তৃণমূল নেতার ছবি প্রমাণ করে যে সরকার প্রশাসন কার কথায় চলে। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।