নয়াদিল্লি: ৭৭তম সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) চূড়ান্ত পর্বের সূচি ও গ্রুপবিন্যাস চূড়ান্ত হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর নয়াদিল্লির ফুটবল হাউসে (AIFF) বৈঠকে সূচি ও গ্রুপ চূড়ান্ত করা হয়।
মোটামুটিভাবে ঠিক হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ সন্তোষ ট্রফির চূড়ান্ত পর্ব আয়োজিত হবে। ১২টি দলকে ৬টি করে দলে ভাগ করে দুটি গ্রুপে রাখা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে সেরা ৬টি দল রয়েছে চূড়ান্ত পর্বে। সেই দলগুলি হল গোয়া, দিল্লি, মণিপুর, অসব, সার্ভিসেস ও মহারাষ্ট্র। বাকি ছয় দলের মধ্যে তিনটি সেরা দ্বিতীয় দল যোগ্যতা অর্জন করেছে। কেরল, মিজোরাম এবং রেলওয়েজ়। সেই সঙ্গে বাকি তিনটি দল হিসবে যোগ্যতা পেয়েছে আয়োজক অরুণাচল প্রদেশ, গতবারের চ্যাম্পিয়ন কর্নাটক ও ফাইনালিস্ট মেঘালয়।
১৯৪১ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সন্তোষ ট্রফির আসর বসছে অরুণাচল প্রদেশে। গ্রুপ এ-তে রয়েছে আয়োজক রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ। এবারের টুর্নামেন্ট খেলা হচ্ছে নতুন ফর্ম্যাটে। দুটি গ্রুপের সেরা চারটি করে দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে।
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কার্যকরী সচিব সত্যনারায়ণ এম বলেছেন, ‘এবার প্রথমবারের জন্য অরুণাচল প্রদেশে সন্তোষ ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবারের টুর্নামেন্ট।’
এবারের টুর্নামেন্টে গ্রুপ এ-তে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, গোয়া, অসম, সার্ভিসেস ও কেরল। গ্রুপ বি-তে রয়েছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মণিপুর, মিজোরাম ও রেলওয়েজ়।
Draw revealed for 77th #SantoshTrophy 🏆 Final Round in Arunachal Pradesh 🙌🏼
Read 👉🏼 https://t.co/2PDwQFd781#IndianFootball ⚽️ pic.twitter.com/2hGukxoQqW
— Indian Football Team (@IndianFootball) November 30, 2023
বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য হতাশ। কারণ, সন্তোষ ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলা। পাঞ্জাবের কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরে যায় বাংলা। তারপরই বাংলার মূল পর্বে খেলার স্বপ্নের সলিলসমাধি হয়।
এবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে হাজির থাকবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট (FIFA President) জিয়ান্নি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino)। মার্চ মাসের ৯ তারিখ অরুণাচল প্রদেশে সন্তোষ ট্রফি ফাইনাল হওয়ার কথা। সেখানেই হাজির থাকার কথা বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: বারুদের বিষগন্ধেও বিশ্বজয়ের বীজ! আফগানিস্তানের স্বপ্ন দেখা শুরু হয় এক ভারতীয়র হাত ধরেই