বাবার প্রতিদ্বন্দী ছেলে, চলছে এলাকায় আলোচনা

বগুড়া-৩(দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর বিপক্ষে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। 

দলীয় নেতারা বলছেন, খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ডামি প্রার্থী। আবার কেউ বলছেন, বাবার বিপক্ষে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার ছেলে। 

এদিকে, একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও চার আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় আলোচনা চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-এলাহী কাজল বলেন, বাবার আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত হয়তো প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন ছেলে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। এখন পর্যন্ত জানি, তিনি ডামি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নৌকার প্রার্থী ছাড়া স্বতন্ত্র অন্যদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা লাগতে পারে। 

বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসন থেকে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ছয় জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য

অজয় কুমার সরকার, সহসভাপতি এরশাদুল হক, আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাজুর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক জামিরুল রশিদ তালুকদার।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর বিপক্ষে তার ছেলেসহ পাঁচ জন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে

দুই দিন ধরে নির্বাচনি এলাকায় নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। তবে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাবার সুবাদে দলীয় পদ পেলেও তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তেমন নেই। 

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার ছেলে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মেহেদীকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য অজয় কুমার সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবিরের অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

গত ১৫ বছর দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছি। কিন্তু মনোনয়ন পাইনি। তবু এবার নেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুসারে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমার হারানোর কিছু নেই। সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলেও নির্বাচন করবো।