Duare Sarkar: ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার, তারিখ ঘোষণা হয়ে গেল

বছরের শেষ মাসে খুশির খবর। আবার শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আবেদন জমা নেওয়ার কাজ। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ। দুয়ারেই পৌঁছে যাবে সরকার। মানে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য় আর ছুটে বেড়াতে হবে না। দুয়ারেই বসবে সরকারি শিবির। সেখানে নানা দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সরকারি নানা পরিষেবা পাওয়া যাবে ওই শিবিরের মাধ্যমে। রেশন কার্ড থেকে বার্ধক্য ভাতা, পরিযায়ী শিল্পীদের নাম নথিভুক্তিকরণ থেকে হস্তশিল্পীদের কল্যাণমূলক প্রকল্প সব পাবেন এক ছাতার তলায়।

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হয়েছিল। ২১শের বিধানসভা ভোটের আগে এটা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মাস্টার স্ট্রোক। ফের আসছে দুয়ারে সরকার।

বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যেতে পারে। তার আগে এবারের দুয়ারে সরকার শিবির যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শেষবার সেপ্টেম্বর মাসে এই দুয়ারে সরকার শিবির বসেছিল। দুর্গাপুজোর আগে এই শিবির বসেছিল। ফের ডিসেম্বরে বসবে দুয়ারে সরকার শিবির।

এদিক বাংলার বহু মানুষ এই দুয়ারে সরকার শিবিরের দিকে চেয়ে থাকেন। কারণ এক দফতর থেকে অপর দফতরে যেতে গেলে কোন স্তরে হয়রান হতে হয় সেটা বাংলার আমজনতা ভালোই জানেন। সেক্ষেত্রে দুয়ারে সরকার অন্তত কিছু ক্ষেত্রে সরকারি দফতরের হয়রানি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দিয়েছে সাধারণ মানুষকে।

বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শাসকের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই দুয়ারে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। এই বৈঠকে মূলত পঞ্চম অর্থ কমিশনের টাকার খরচ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মূলত গ্রামীণ এলাকায় যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প এখনও করা যায়নি সেগুলি দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের বঞ্চনা যতটা সম্ভব কমানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার ব্যাপারে বলা হয়েছে রাজ্য় প্রশাসনের তরফে জেলাগুলিকে বলা হয়েছে।