Cyber Fraud: টাকা না দিলেই গ্রেফতার! সিবিআই পরিচয় দিয়ে প্রাক্তন পিএফ কর্তার ৪২লাখ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা

বড় সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে লাখ লাখ টাকা হারালেন এক অবসরপ্রাপ্ত পিএফ কমিশনার। ৪২ লাখ টাকা তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা? 

মূলত যেটা বলা হচ্ছে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে ফোনে জানানো হয়েছিল। আর সেই গ্রেফতারি বাঁচানোর জন্য তাকে ৪২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর তিনি ৪২ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন প্রতারকদের কাছে। তারপরই বুঝতে পারেন বিষয়টি ভুল হয়ে গিয়েছে। 

ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটি? 

মহেন্দ্র রাজু নামে ওই প্রাক্তন পিএফ কমিশনার পুলিশকে জানিয়েছেন ১৭ নভেম্বর দুপুর ৩টের সময় তিনি একটা অজানা নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়েছিলেন। এরপর আকাশ কুলহারি নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোনটা ট্রান্সফার করা হয়। তিনি আবার নিজেকে সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। এরপর একটা নথিও তাকে দেখানো হয়। যেটা সুপ্রিম কোর্টের নথি বলে দাবি করা হয়। তাকে বলা হয়েছিল নরেশ গোয়েল, জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতাকে যেভাবে জেলে ভরা হয়েছে সেভাবেই মহেন্দ্রকেও গ্রেফতার করা হবে। আর গ্রেফতার এড়াতে চাইলে টাকা পাঠাতে হবে। আর সেই টাকার অঙ্ক একেবারে ৪২ লাখ। 

সেই মতো ওই বিপুল অঙ্কের টাকা তিনি পাঠিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে প্রতারকরা দাবি করে। এদিকে তিনি বার বার বলেছিলেন এই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তারপর তাকে বলা হয়েছিল কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। গ্রেফতারি থেকে বাঁচার জন্য টাকা দিলেই হবে। 

পরের দিন এমপি ফার্নিচার ও শ্য়াম ডেয়ারি ফার্মের নামে দুটি অ্য়াকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয় তাকে। এরপর মহেন্দ্র ফার্নিচারের অ্য়াকাউন্টে ১৬.৭ লাখ টাকা আর ডেয়ারির অ্য়াকাউন্টে ২৫.৩ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন। 

এদিকে পুলিশের তরফে দাবি করা হয় গোয়েলের বাড়িতে অভিযানে নেমে রাজুর ডেবিট কার্ড মিলেছে বলে একটা মিথ্য়ে দাবি করা হয়েছিল। এমনকী প্রতারকরা বিশ্বাস করানোর জন্য থানার ছবিও দেখিয়েছিল ভিডিয়ো কলে। কিন্তু সবটাই ছিল সাজানো। 

এর আগে প্রতারকরা এক আইটি কর্মীকে গোয়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে ১.৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।