National pollution control day 2023: দেশের ইতিহাসে আজও ক্ষত ১৯৮৪-এর দুর্ঘটনা! জানুন দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস পালনের কারণ

দূষণ বর্তমানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতি বছর বিভিন্ন ধরণের দূষণের কারণে বাড়ছে নানা রোগের হার ও মৃত্যুর পরিসংখ্যন। তাই এখন সময় এসেছে জীবনযাপনে বদল আনবার। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে বাঁচাতে হবে সবুজ। শুধু বায়ু দূষণ নয়, জল দূষণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দিন দিন গ্রহের অবনতি ঘটছে।

প্রতি বছর ভারতে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস উদযাপিত হয় এই বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করার জন্য। চলতি বছরেও শনিবার পালিত হচ্ছে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস। ২ ডিসেম্বর এই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু কেন পালন করা হয়  এই দিনটি? জেনে নেওয়া যাক সেই ইতিহাস।

(আরও পড়ুন: শুধুই পেট সাফ নয়, কোলেস্টেরলও কমায়! ইসবগুলের ৫ গুণ জানলে রোজ এমনিই খাবেন)

দিনটির ইতিহাস

১৯৮৪ সালে ২ ডিসেম্বর এবং ৩ ডিসেম্বর ভোপালে ভয়ানক গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতের ইতিহাসে এই দিনটি ছিল সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। ওই দিন ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেড নামের একটি কীটনাশক প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট নামক ক্ষতিকারক রাসায়নিক গ্যাস নির্গত হয়েছিল। ওই ক্ষতিকারক গ্যাসের সংস্পর্শে এসে কমবেশি ২৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়। বেসরকারি হিসেবে যা আরও বেশি বৈ কম নয়। ক্ষতিকারক প্লান্ট থেকে নির্গত গ্যাস কাতারে কাতারে মানুষের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয় । ভোপালের এই ঘটনাই রয়েছে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবসের পিছনে। ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে মনে রেখে পালন করা হয় জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস। প্রতি বছর এই দিনটিতে প্রাণ হারানো মানুষদের সম্মান জানানো হয়। 

(আরও পড়ুন: জিনগত রোগও চোখ রাঙাবে না আর! সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে নতুন রাস্তা দেখাচ্ছে বিজ্ঞান)

মানুষই দূষণ তৈরি করে। তাই মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিবেশবান্ধব উপায়গুলি অন্বেষণ করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দূষণের ফলে শুধু যে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়। এর পাশাপাশিস্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে। যা পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য রাখবে না বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।