Bratya Basu: তালাচাবি লাগিয়ে চললেন! বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপর চটেছেন ব্রাত্য

রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের সরকারি অনুমোদন আপাতত বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। এরপরই বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। এদিকে রাজ্যের বিআর আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তরফে জানানো হয়েছে এই কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হবে না। এরপরই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম আপাতত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেন উপাচার্য। তাঁর দাবি প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক কাজও বন্ধ থাকবে।

এটা শুনে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, এরকম অভূতপূর্ব পরিস্থিতি হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে তালাচাবি লাগিয়ে চললাম। হয় না। এগুলো করা যায় না। তুঘলকি কাণ্ড চলছে।

প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তার মধ্য়ে সোমা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও রয়েছেন। আর সেই সোমা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অবস্থান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে এই খবর কানে যেতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এভাবে উপাচার্য বলতে পারেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। মূলত আচমকা প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

ব্রাত্য বসু বলেন, বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানলাম। মেল করে বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে রেজিস্ট্রার বিকাশভবনে জানিয়েছেন। এটা কোনও পন্থা হতে পারে না। ঠিকঠাক চালাতে না পারলে তালা লাগিয়ে চলে যেতে পারেন না। তার থেকে পদত্যাগ করা উচিত। এখানেই থেমে থাকেননি ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, এরকম অভূতপূর্ব পরিস্থিতি হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে তালাচাবি লাগিয়ে চললাম। হয় না। এগুলো করা যায় না। তুঘলকি কাণ্ড চলছে।

তিনি বলেন, আচার্যের কথা শুনে তাঁরা এসেছেন। তাই আচার্যকে জানানো উচিত। দফতরে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা কাম্য নয়। বাঞ্চনীয় নয়। উচিত নয়। উনি আচার্যের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না জানি না। এটাকে সমর্থন করছি না।