‘‌এই জয় আমাদের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করবে’‌, উল্লসিত প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে তিন রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপিই কুর্সি দখল করছে। আর এই ফলাফলে এখন অক্সিজেন পেয়েছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই ফলাফলই প্রচার করবে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। আর সেটাই এবার শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। সুতরাং একদিকে উৎসাহ অপরদিকে ভাঙন রোধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই জয়ের পর বিজেপি নেতারা বেশ উল্লসিত। পশ্চিমবঙ্গে দাঁত ফোটাতে না পারলেও এটাই এখন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এই তিন রাজ্যে জয়ের বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার আজ রবিবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌নরেন্দ্র মোদীর হাওয়ার জয়। তেলাঙ্গানা বাদে বাকি ৩ রাজ্যেই ক্ষমতা দখলের পথে রয়েছে বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসনের দিকে আমাদের চোখ। এই জয় আমাদের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করবে।’‌ বাংলায় বিজেপি সংগঠনের হাল একেবারে বেহাল। তা নিয়ে দলের অন্দরেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে তিন রাজ্যে বিজেপি জিতলে এখানের সংগঠন কেমন করে গড়ে উঠবে তা বোঝা যাচ্ছে না।

এদিকে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়— তিন রাজ্যেই কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। দলের এমন পারফরম্যান্স দেখে বাংলার বিজেপি কর্মীরা উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‌আমরা পর পর দুটো ডোজ পেলাম। এক, ২৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় ভিড়। দুই, এই জয়।’‌ সুতরাং এটাই এখন প্রচারের কৌশল হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু কয়েক মাস আগে কর্নাটকে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‌কর্নাটকে সরকার বিরোধিতা একটা ফ্যাক্টর। পাঁচ বছর অন্তর সরকার পাল্টায়। তাই সেই বদল এবারও হয়েছে। কিছু বিভ্রান্তিমূলক সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এই ভুল বেশিদিন থাকবে না। অপেক্ষা করুন। আগামীদিনে নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে কর্নাটকে ফিরবে বিজেপি।’‌ তেলাঙ্গানা নিয়ে কী বলবেন? সুকান্ত বলেন, ‘‌বিজেপি এই প্রথম তেলাঙ্গানায় এত ভোট পাচ্ছে। আগামীদিনে তাদের বিধায়ক সংখ্যা আরও বাড়বে।’‌

আরও পড়ুন:‌ বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সিসি ক্যামেরা বসতেই ঈশ্বর শরণে মন্ত্রী

অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রচারে আসবেন নরেন্দ্র মোদী। আজ আবার নয়াদিল্লির পার্টি অফিসে সন্ধ্যায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে দেবেন বার্তাও। এই ফলাফলের পরে সুকান্ত বলছেন, ‘‌নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকার কয়েক হাজার কিমি এগিয়ে রয়েছে। তার প্রমাণ ধরা পড়েছে ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় বিজেপির পারফরম্যান্সে এক জিনিস ধরা পড়বে। দুর্নীতিকে আরও বেশি করে ইস্যু করা হবে। নরেন্দ্র মোদী উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাস দেওয়ার সময় এটা দেখেন না, উপভোক্তা বিজেপি না তৃণমূল কংগ্রেস করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখা হয়, কে তৃণমূল কংগ্রেস করেন। তবে এই বন্ধন বেশিদিন কাজ করে না।’‌