Selfie with Modi: কলেজে টপাটপ সেলফি তুলতে হবে মোদীর ছবির সঙ্গে, নয়া নির্দেশ, ‘গেরুয়াকরণ’ বলছে তৃণমূল

সেলফি তুলতে হবে মোদীর সঙ্গে। তবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সেলফি তুলতে হবে ব্যাপারটা তেমন নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নানা ভঙ্গিমায় ছবি থাকবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই গিয়ে ছবি তুলতে হবে। এটিই ইউজিসির নির্দেশ। তবে শুধু ছবি তুলে মোবাইলে রেখে দিলেন তেমনটা নয়। সেই ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্টও করতে হবে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে বর্তমানে দেখা যায় মোদীর ছবি সম্বলিত কাটআউট রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই সেলফি তোলেন। তবে এবার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সেলফি পয়েন্ট থাকবে সেখানে গিয়ে ছবি তোলার জন্য বলেছে ইউজিসি। তবে এভাবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলফি পয়েন্ট গড়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা ঠিক কী রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।

তবে প্রধানমন্ত্রীর ঠিক কী ধরনের কাট আউট থাকবে,, থ্রি-ডি সেলফি পয়েন্ট থাকবে সেটাও বলা হয়েছে নির্দেশে। তবে বাংলার কলেজে এই ধরনের উদ্যোগ থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোদীর ছবি সম্বলিত সেলফি পয়েন্ট। তবে কি এর মধ্য়েও প্রচ্ছন্ন রাজনীতি রয়েছে?

তবে শুধু যে ছাত্র ছাত্রীরা এখানে সেলফি তুলবেন এমনটা নয়। এখানে শিক্ষকরাও সেলফি তুলবেন। তবে ইউজিসির তরফে বলা হয়েছে, ভারতের যে ব্যপক উন্নতি হয়েছে সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষকে তরুণ সমাজকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ।

এদিকে এই নির্দেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতারা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের সেলফি পয়েন্ট তৈরি করার মাধ্যমে কার্যত রাজনৈতিক প্রচার করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সাফ কথা, এটা শিক্ষায় গৈরিকীকরণ ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, এই নির্দেশ আসলে শিক্ষায় সরকারি অনুপ্রবেশ ছাড়া কিছু নয়। আমরা এখানে কখনও তা করিনি। কোথাও রাজ্য সরকারের কোনও প্রকল্পকে এভাবে নিয়ে যাইনি।

শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেস নেতৃত্বও এনিয়ে সরব হয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের অভিযোগ বার বারই ওঠে। এবার মোদীর সেলফি পয়েন্টের মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টার মাধ্যমে যেন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হল অনেকটাই।