Bhutan Parliamentary election 2023: ভুটানে সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় এগিয়ে ভারতপন্থী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি

একদিকে যেমন ভারতের চার রাজ্যে চলছে ভোট গণনা, অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটানেও সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। দেশটিতে প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ভারতপন্থী দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় দলটি পেয়েছে ৪২.৫ শতাংশ ভোট। দেশটিতে শেষ দফা বা চূড়ান্ত দফার ভোট হবে আগামী ৯ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন: Bhutan: বিশ্বের গরিব দেশের তালিকা থেকে মুক্তি পেল সুন্দরী ভুটান, ওদের গর্বের দিন

ভুটানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভুটান টেন্ডারেল পার্টি (বিটিপি)। এই দলটি ১৯.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।  ভুটানের রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে পিডিপি যে ফল করেছে তা অবাক করার মতো। নির্বাচনী এলাকায় অন্যান্য দল ভালো ফল করবে বলেই অনুমান ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। প্রথম দফার ভোটে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জয়লাভ করেছে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভালো রয়েছে তোবগের। পিডিপি ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

সাধারণত ভুটানে সাধারণত দুটি দফায় নির্বাচন হয়ে থাকে। প্রথম দফায় রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন ভোটাররা। এরপর সেই ভোটে যে দুটি দল প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে তারা পার্লামেন্টের ৪৭ টি আসনে প্রার্থী দেয়। সেই আসনগুলিতে দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। প্রসঙ্গত, ভুটানের মোট জনসংখ্যা ৮ লক্ষ। যার মধ্যে ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ। দেশটিকে মোট ৪৮টি আসন রয়েছে। ভুটানের ৪টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে থাকে। ভারতের মতোই ভুটানের পার্লামেন্টের দুটি কক্ষ রয়েছে। উচ্চকক্ষের নাম ন‍্যাশনাল কাউন্সিল এবং নিম্নকক্ষের নাম হল জাতীয় পরিষদ।  পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ভারতীয় বংশদ্ভুতরা বেশি সংখ্যায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দুই দেশের ভালো সম্পর্কের কথা বর্ণনা করেছিলেন টোবগে।  ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফরের প্রথম গন্তব্য হিসেবে ভুটানকে বেছে নিয়েছিলেন। টোবগে বলেছিলেন, ভারত কয়েক দশক ধরে ভুটানের উন্নয়নে এবং জাতিসংঘে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। উল্লেখ্য,  টোবগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভুটানের জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এবারও কি প্রধানমন্ত্রী হবেন? সেটাই এখন দেখার।