NBSTC Dooars Tour Package: জলের দরে জলদাপাড়া, জয়ন্তী-টোটোপাড়াও থাকছে, শীতের প্য়াকেজ এনবিএসটিসির

শীত পড়তে শুরু করেছে। এই সময়ই তো ডুয়ার্স বেড়ানোর সময়। এদিকে জঙ্গল খুলে গিয়েছে ইতিমধ্য়েই। সেক্ষেত্রে জলদাপাড়া আর চিলাপাতার জঙ্গল এখন সবুজে সবুজ। তবে জলদাপাড়ায় ইদানিং নাকি সবুজের ভাগ কমছে দিন কে দিন। তবে সেসব কথা পরে হবে। এখন গন্ডার দেখার সাধ পূরণের জন্য় আপনাকে যেতেই হবে জলদাপাড়া।

উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এক্ষেত্রে বিশেষ প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছে। ৪ দিন ৩ রাতের প্য়াকেজ। তবে আপনি প্যাকেজের বাইরে গিয়েও নিজেদের ব্যবস্থাপনায় জলদাপাড়া যেতেই পারেন। সেটাও মন্দ কিছু নয়।

এনবিএসটিসির ট্যুর প্যাকেজে প্রথমেই আপনাকে হাসিমারা বা ফালাকাটা স্টেশন থেকে প্রতিনিধিরা স্বাগত জানাবেন। এরপর গাড়িতে সোজা জলদাপাড়া। সেখানেই রিসর্টে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। জলদাপাড়া মানেই এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস। তবে কোনোভাবেই তাদের বিরক্ত করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে অপূর্ব প্রকৃতির রূপ। নানা পাখির দেখা পাবেন আপনি।

দ্বিতীয় দিনে চিলাপাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। দক্ষিণ খয়েরবাড়ি, টোটোপাড়া ঘুরিয়ে সোজা চিলাপাতা। দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে রেসকিউ সেন্টার রয়েছে। সেখানে আপনি চিতাবাঘের দেখা পাবেন। তবে প্রবেশের টিকিট আপনাকেই কাটতে হবে।

তবে টোটোপাড়া যাওয়ার অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্যরকম। মাদারিহাট থেকে প্রায় ২২ কিমি দূরে এই টোটোপাড়া। এরপর আপনার গন্তব্য হবে চিলাপাতার জঙ্গল। এখানেই রয়েছে নল রাজার গড়। চিলাপাতাতেই রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে বনফায়ার আর বারবিকিউয়ের ব্যবস্থাও থাকছে।

তৃতীয় দিনে প্রথমেই গাড়ি যাবে বক্সা টাইগার রিজার্ভে। এরপর জয়ন্তীতে। পথে পড়বে সিকিয়াঝোরা। এটাকে ডুয়ার্সের আমাজন বলে পরিচিত। আসলে সিকিয়াঝোরা একটা ছোট্ট ঝোরা। এরা বক্সার বুক চিরে চলে দিয়েছে। বক্সায় গেলে লেপচাখা গ্রামে যেতে ভুলবেন না। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম।

জয়ন্তী নদীর ধারে রয়েছে জয়ন্তী। কাছে ভুটান পাহাড়। এই জয়ন্তীকে ডুয়ার্সের রানি বলে ডাকা হয়। এই জয়ন্তীতেই রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

চতুর্থ দিনে হাসিমারা বা নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে ফেরার ব্যবস্থা। এই প্যাকেজের মধ্য়ে গাড়ি, সাইটসিয়িং, হোটেল, রিসর্ট এসি-নন এসি খাবার ট্যুর ম্যানেজার সব থাকছে।

এই গোটা প্যাকেজের জন্য় আপনাকে মাথাপিছু ৭৫০০ টাকা করে দিতে হবে। এজন্য এনবিএসটিসির ট্যুরিজম বিভাগের সঙ্গে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে।