উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি মোকাবেলায় একজোট যুক্তরাষ্ট্র, দ.কোরিয়া ও জাপান

উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং সামরিক যোগাযোগ দমাতে আন্তর্জাতিক চাপ আরও কঠোরভাবে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। স্থানীয় সময় শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সিউলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তারা। ব্রিটিশ সংবাদসস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মোকাবেলায় নতুন ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ শুরু করেছে তারা। উল্লেখ্য উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রসারণ কর্মসূচির কারণে কোরীয় উপদ্বীপে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে উদ্বেগের জের ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশিয়ার মিত্ররা তাদের ত্রিপক্ষীয় যোগাযোগ আরও জোরদার করছে এবং সম্মিলিত সামরিক অনুশীলকেও শক্তিশালী করেছে। তবে উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উন এই অনুশীলনের নিন্দা জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চো তাই–ইয়ং বলেন, তিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক রেজুলেশনের অধীনে উত্তর কোরিয়ার বাধ্যবাধকতা পুনর্নিশ্চিত করেছেন। উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায় করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবসায়ের রেকর্ড রয়েছে। এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ওয়াশিংটন, সিউল ও টোকিও। তাদের ধারণা, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিপক্ষে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করছে। এর পরিবর্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিম জং উনকে সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করতে রুশ প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করছে।

গত মাসে উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কারণে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।