গাজায় আন্তর্জাতিক নজরদারি মিশন চায় রাশিয়া

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক নজরদারি মিশন পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এই আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দোহা ফোরাম কনফারেন্সে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সের্গেই  ল্যাভরভ বলেছেন, আমরা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে আমরা মনে করি না, নির্বিচার গোলাবর্ষণে লাখো ফিলিস্তিনি মানুষের ওপর সমন্বিত শাস্তির জন্য এটিকে ব্যবহার করা গ্রহণযোগ্য।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত এ হামলায় ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছিলেন।

শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া।

ল্যাভরভ বলেছেন, গাজায় মানবিক  বিরতি এবং সরেজমিন পর্যালোচনার জন্য নজরদারি প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের মহাসচিবকে পরামর্শ দিয়েছি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে কোনও এক ধরনের নজরদারি মিশন পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসারে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উপেক্ষা করছে।  রবিবার তার সঙ্গে গাজা ইস্যুতে ফোনালাপ করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

কয়েক দশকের সংঘাত ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ল্যাভরভ বলেছেন, ৭ অক্টোবরের হামলা হুট করে ঘটেনি।

এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বলেছিলেন, হামাসের হামলা বিনা কারণে ঘটেনি।  ইসরায়েল তখন সমালোচনা করে বলেছিল, মহাসচিব হামাসের হামলাকে ন্যায্যতা দিচ্ছেন। মহাসচিব ইসরায়েলি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।