Murshidabad Medical College and Hospital: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে শিশু মৃত্যু বেড়ে ১৪, খতিয়ে দেখল প্রতিনিধি দল

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সদ্যোজাতদের মৃত্যু অব্যাহত। এই নিয়ে গত তিনদিনে হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১৪ জন। টানা কয়েকদিন ধরে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করল স্বাস্থ্য দফতরের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের দুই কর্তা বি কে পাত্র, অরিজিৎ ভৌমিক এবং আরও দু’জন চিকিৎসক অসীম দাস মালাকার ও পম্পা চক্রবর্ত্তী। কী কারণে বারবার সেখানে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে? তা জানতে দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের সুপার, অধ্যক্ষ এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রতিনিধি দল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শিশু মৃত্যুর জন্য অপুষ্টজনিত কারণকেই দায়ী করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে একদিনে ১০ শিশুর মৃত্যু, অপুষ্টিকেই দায়ী হাসপাতালের

শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশিও এসএনসিইউ ওয়ার্ডের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। শিশু মৃত্যুর পিছনে পরিকাঠামোগত কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা সে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেন তারা। এছাড়াও রোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। রোগীর আত্মীয়রা সঠিক সময় সিজার না করার অভিযোগ তুলেছেন বলে জানা গিয়েছে । পাশাপাশি জেলায় অন্যান্য হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও কেন বারবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে সদ্যোজাতদের রেফার করা হচ্ছে? সে বিষয়টিরও তারা খোঁজ নেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জন শিশুর। 

তার ভিত্তিতে প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়, ১০টির মধ্যে ৬টি শিশুকে এনএনসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। বাকি ৪ জনকে হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রতিনিধি দলের বক্তব্য, মূলত ওজন কম হওয়ার কারণে ৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুগুলির জন্ম হয়েছিল নার্সিংহোমে। এরপর তাদের মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে প্রতিনিধি দল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে। 

মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। মূলত অপুষ্টি, কম ওজন এবং শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রসূতিদের অল্প বয়সে বিয়ে করা এবং ঘন ঘন সন্তান প্রসব করাকে দায়ী করেছেন অধ্যক্ষ।