গাজায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিন্দা জানিয়ে যা বললো ডব্লিউএইচও

অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ কোনও কিছুই ইসরায়েলি হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এ পরিস্থিতিতে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ঝুঁকে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিপর্যস্ত আর  উন্নতি প্রায় অসম্ভব।  কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, গাজার যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তার উন্নতি প্রায় অসম্ভব। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষ নানা রোগে ভুগছে। মোটকথা স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। গাজায় আরও চিকিৎসা সুবিধা পাঠানোর জন্য একটি জরুরি প্রস্তাব পাস করা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি করা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারাও গাজায় বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করেছেন। 

আফগানিস্তান, কাতার, ইয়েমেন এবং মরক্কোর প্রস্তাবিত জরুরি পদক্ষেপে গাজায় চিকিৎসা কর্মীদের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং রোগীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করতে এবং হাসপাতাল পুনর্নির্মাণের জন্য তহবিল যোগাড় করতেও ডব্লিউএইচও-কে বলা হয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, আমাকে অবশ্যই খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের কাজ করা প্রায় অসম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেছেন, গাজা এবং পশ্চিম তীরে গত ৭ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য ৪৪৯ টিরও বেশি হামলা হয়েছে। আর এই কারণে এখন সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করা অসম্ভব।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫শ’ জন। অপরদিকে ইসরায়েলি হামলায় ১২শ’ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। 

এদিকে মঙ্গলবার গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির সম্ভাবনা রয়েছে। যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত শুক্রবারের (৮ ডিসেম্বর) ভোটে ১৩টি দেশ যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দেয়  এবং যুক্তরাজ্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।