সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের চিঠি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, কোন তথ্য জানতে চায় সরকার?‌

ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষানীতি গড়ে উঠেছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা নীতিও। এই আবহে এবার সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা রয়েছে তা দেখে নিতে চাইছে শিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। আর তারপরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সরকারি স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের চিঠি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের মধ্যে।

এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো চিঠিতে নানা প্রশ্ন দেখতে পেয়েছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এত বছর পর এগুলি জানাতে হবে ভেবে তাঁরা বেশ বিচলিত হয়ে পড়েছেন। স্কুলে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা কত বছরের? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের। তার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা কত?‌ তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই তথ্যের মধ্য থেকে অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাম জমানায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যোগ্যতা ছিল কিনা সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

অন্যদিকে চাকরি পাওয়ার নথি চাওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি। আসলে মানিক ভট্টাচার্য বাম জমানায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’‌কলেজে অধ্যক্ষ পদে বসেন মানিক ভট্টাচার্য। যিনি এখন জেলে। গতকাল ইউজিসি জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে যে, মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ হয়েছিল অবৈধ পথেই। সুতরাং বাম জমানায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল বলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তারপরই সরকারি স্কুলগুলির থেকে তথ্য জানতে চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যজুড়ে সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষক–শিক্ষিকাদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

আরও পড়ুন:‌ বেলডাঙা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চার্জশিট এনআইএ’‌র, তৃণমূল নেতা–সহ ৭ জনের নাম আছে

এছাড়া যে স্কুলগুলি সাফল্য পাচ্ছে বা পেয়ে আসছে সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের কারা পড়াচ্ছেন সে সম্পর্কেও জানতে চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যজুড়ে স্কুলগুলিকে এই চিঠি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী ২২ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি স্কুলে কেমন শিক্ষক, কত অভিজ্ঞতাপূর্ণ শিক্ষক আছে সেসব সম্পর্কে জানতে চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অনেকে জেলবন্দি। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা জেলে আছেন। এই আবহে এমন চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।