Intermittent fasting: ওজন কমবে ১০ ঘন্টার মধ্যে খাবার খেলেই! জানুন Intermittent fasting-এর খুঁটিনাটি

১০ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে খাবার। সারাদিনে যা যা খাওয়ার, তা ওই সময়ের মধ্যেই খেতে হবে। তাহলেই নাকি ভালো থাকবে শরীর। মেজাজ, শক্তি ও খিদে তিনটেই রীতিমতো চাঙ্গা থাকবে। সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এমনটাই। সেখানে একটি বড় সংখ্যক মানুষের মধ্যে এই নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের (King’s College London) গবেষকরা এই গবেষণা শুরু করেন। গবেষণার ফলাফল ইউরোপিয়ান নিউট্রিশন কনফারেন্সে (European Nutrition Conference) জানানো হয়েছে। 

(আরও পড়ুন: স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রণামী দেওয়া যাবে ভোপালের এই মন্দিরে! কেন এই সিদ্ধান্ত)

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মজাটা কোথায়?

ওজন কমানোর জন্য নানারকম পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent fasting) বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার খেয়ে নেওয়া বেশ প্রচলিত পদ্ধতি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার খেয়ে নেওয়াটা আদতে কেমন? আসুন জেনে নেওয়া যাক। 

ধরা যাক, আপনি ১০ ঘন্টা সময়ের হিসেবে খাবার খান। তেমনটা হলে সকাল ৯ টায় প্রথম খাবার খাবেন আপনি। শেষ খাবার খাবেন সন্ধ্যে সাতটায়। এর বাইরে থাকছে ১৪ ঘন্টা। এই গোটা সময়টা না খেয়ে থাকতে হবে। অর্থাৎ, উপোস থাকতে হবে। এই নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়াকে বলে রেগুলার ইটিং উইন্ডো (Regular Eating Window)। 

(আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন! জারি করল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)

রেগুলার ইটিং উইন্ডো ব্যাপারটা কী?

তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর সঙ্গে এর তফাত রয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে ৬ ঘন্টা অন্তর খাবার খাওয়ার কথাও বলা হয়ে থাকে। তবে সেই ব্যাপারটা নেই রেগুলার ইটিং উইন্ডোতে। বরং দেখা গিয়েছে ১০ ঘন্টা ধরে খাওয়াদাওয়া বেশি উপকারী শরীরের জন্য। এতে মেজাজের পাশাপাশি খিদেটাও ভালোরকম চাগাড় দেয়।

কী বললেন গবেষকরা

লন্ডন কিংস কলেজের প্রধান বিজ্ঞানী সারাহ বেরি বলেন, এটা একটা বড় আকারের পরীক্ষানিরীক্ষা ছিল। একটা কন্ট্রোলড ক্লিনিকের বাইরে বেরিয়ে এই গবেষণা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপকারিতাগুলি তুলে ধরেছে। বাস্তব জগতে এই ধরনের ফাস্টিং বা উপবাসের একাধিক উপকারিতাও রয়েছে বলে জানান তিনি। গবেষণায় সেই উপকারী দিকগুলিই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান সারাহ।

তবে এর পাশাপাশি নিয়মিত উপবাসের কথাও বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অনেকেই করেন। কিন্তু নিয়ম মেনে তা করতে না পারলে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। এতে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই এই ধরনের ফাস্টিংয়ে শরীরকে অভ্যস্ত করাতে হবে রোজ উপবাস জরুরি। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।