পবনপুত্রের ধাক্কায় ছাদ থেকে নীচে পড়লেন গৃহবধূ, নদিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া

পবনপুত্রের ধাক্কায় এবার মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। আজ, বুধবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুর প্রথম লেন এলাকায়। ছাদে কাপড় মেলতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। আর তখনই ঘটে এই বিপত্তি। ছাদে দাপট দেখানো হনুমান ওই গৃহবধূকে দেখে মনে করে ফাঁদ পাতছে। তাই ধাক্কা দেয়। আর তার জেরে ভারসাম্য হারিয়ে গৃহবধূ নীচে পড়ে যান। তখন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত গৃহবধূর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় অবাক হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূ নবদ্বীপ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুর প্রথম লেন এলাকার বাসিন্দা। মৃত ওই গৃহবধুর নাম নীলিমা বসাক (‌৫২)‌। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় আলোড়ন পড়ে যায়। এই গৃহবধূ শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আজ সকালে স্নান সেরে কাপড় শুকাতে বাড়ির দোতলার ছাদে উঠে জামাকাপড় মেলছিলেন। তখন ছাদের উপরে বেশ কয়েকটি হনুমানের দাপাদাপি শুরু হয়। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি হনুমান তাঁকে ধাক্কা দেয়। ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ির দোতলার ছাদ থেকে নীচে পড়েন তিনি। তাঁর চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে আসেন।

অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর হাসপাতাল থেকে দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল পাঠায় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নবদ্বীপ শহর জুড়ে সারাদিন যেভাবে হনুমানের তাণ্ডব চলে তাতে আতঙ্কিত শহরবাসী। বন দফতরের পক্ষ থেকে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন:‌ দার্জিলিংয়ের সিঙ্গালিলা পার্ক ঢাকল বরফে, সান্দাকফুতে শুরু তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা

এছাড়া এলাকাবাসী এই ঘটনার পর দাবি করেন, নবদ্বীপ এলাকায় প্রত্যেকদিনই হনুমানের তাণ্ডব বাড়ছে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার বন দফতরে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। হনুমানের সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখানে রোজ মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। খুবই সমস্যার বিষয়। এটা একাধিকবার বন দফতরে জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বন দফতরের পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। তাহলে এমন দিন দেখতে হতো না।